টানা তিনটিসহ এক বছরে পঞ্চম শূন্য সাইমের, শীর্ষে কে?

ছবি: এএফপি

চলমান এশিয়া কাপে রান করতেই ভুলে গেছেন সাইম আইয়ুব। পাকিস্তানের বাঁহাতি ওপেনার টানা তৃতীয় ম্যাচে আউট হলেন শূন্য রানে। ওমান ও ভারতের বিপক্ষে প্রথম বলেই বিদায় নেওয়ার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিনি সাজঘরে ফিরলেন ২ বল খেলে।

বুধবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে 'এ' গ্রুপের ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। আগের দুই ম্যাচে গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ পাওয়া সাইম 'সামান্য উন্নতি' করতে পারেন। মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় বলে মুহাম্মদ রোহিদের হাতে ক্যাচ দিয়ে শিকার হন জুনাইদ সিদ্দিকির।

চলতি বছর খেলা ১৭টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সাইমের এটি পঞ্চম শূন্য। চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, আগের চারটিই ছিল গোল্ডেন ডাক।

২৩ বছর বয়সী ব্যাটার এই সংস্করণে ২০২৫ সাল শুরুই করেছিলেন শূন্য রানে মাঠ ছেড়ে। গত মে মাসে লাহোরে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম বলেই আউট হন তিনি। এরপর শারজাহতে চলতি মাসের শুরুতে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও পান গোল্ডেন ডাকের অপ্রত্যাশিত অভিজ্ঞতা।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক বর্ষপঞ্জিতে পাঁচবার শূন্য রানে আউট হওয়ার নজির আছে আরও চারজনের। সেই তালিকায় আছেন সাইমের স্বদেশী হাসান নওয়াজ ও পাকিস্তানের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঞ্জু স্যামসন। বাকিরা হলেন জিম্বাবুয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি ও রেজিস চাকাভা।

জাতীয় দলের হয়ে কোনো নির্দিষ্ট বছরে টি-টোয়েন্টি সংস্করণের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশিবার শূন্যতে বিদায় নেওয়ার বিব্রতকর রেকর্ডও জিম্বাবুয়ের এক খেলোয়াড়ের। রিচার্ড এনগারাভা গত বছর ২০টি ম্যাচ খেলে ছয়বার আউট হন রানের খাতা না খুলেই।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টানা সর্বোচ্চ চারটি ম্যাচে ডাকের তেতো স্বাদ পাওয়ার অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড যৌথভাবে চারজনের। সেই তালিকাতেও আছেন পাকিস্তানের একজন। আবদুল্লাহ শফিকের সঙ্গীরা হলেন হংকংয়ের আনাস খান, তুরস্কের জাফের দার্মাজ ও আইভরিকোস্টের ওয়াতারা জাকারিজা।

পাকিস্তানের জার্সিতে মাত্র ৪৪ ম্যাচেই সব মিলিয়ে আটটি ডাক হয়ে গেছে সাইমের। ৯৮ ম্যাচ খেলে সমান সংখ্যকবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন দলটির সাবেক অলরাউন্ডার শহিদ আফ্রিদি। সাইমের সামনে আছেন এখন কেবল একজন। প্রাক্তন ব্যাটার উমর আকমলের ৮৪ ম্যাচে ডাক ১০টি।

Comments