‘মানসিক ক্লান্তিই আসল পরীক্ষা, টেস্টের সঙ্গে ওয়ানডের নেতৃত্ব পেয়ে গিল

টেস্টের স্থায়ী অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর আভাস মিলছিল বাকি দুই সংস্করণও হয়ত যাবে শুভমান গিলের কাছেই। টি-টোয়েন্টিতে সহ-অধিনায়কত্ব পেলেও ওয়ানডেতে তিনিই এখন ভারতের নতুন অধিনায়ক। বড় দুই সংস্করণে নেতৃত্বের ভার পেয়ে 'মানসিক ক্লান্তি' বড় এক চ্যালেঞ্জ হতে পারে বলে মনে করছেন গিল।
দুই ফরম্যাটে অধিনায়ক, আরেকটিতে সহ-অধিনায়ক। হয়ত এক সময় তিন সংস্করণই যাবে তার কাছে। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে গিল স্বীকার করেন, তিনটি আন্তর্জাতিক ফরম্যাটে খেলা অবশ্যই একটি বড় চ্যালেঞ্জ, তবে সেটাই তাকে অনুপ্রাণিত করে।
গণমাধ্যমকে গিল বলেন, 'শারীরিকভাবে বেশিরভাগ সময় আমি ভালোই অনুভব করি, কিন্তু মাঝে মাঝে মানসিক ক্লান্তি আসে, কারণ আপনি যখন লাগাতার খেলছেন।'
'নিজের কাছ থেকে আমার নির্দিষ্ট কিছু প্রত্যাশা থাকে, সেটাও মানসিকভাবে চাপ বাড়ায়।'
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ভারত দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে, প্রথম টেস্টে তারা তিন দিনের মধ্যেই ইনিংস ও ১৪০ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গুঁড়িয়ে দেয়।
তিন দিনের খেলা শেষ হতেই গিলকে রোহিত শর্মার উত্তরসূরি হিসেবে ভারতের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়, ফলে ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটারের দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়।
এই প্রসঙ্গ আসতেই গিল বলেন, 'আমার মনে হয়, ভারতের হয়ে সব ফরম্যাটে খেলার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এটাই, আমি দেশের হয়ে সব ফরম্যাটে খেলতে চাই, সফল হতে চাই, আর আইসিসি ট্রফিগুলো জিততে চাই।'
২০২০ সালের ডিসেম্বরে টেস্টে অভিষেক হওয়া গিল চলতি বছরের মে মাসে রোহিতের জায়গায় ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হন।
ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ৭৫৪ রান করে তিনি ভারতের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। গত মাসে এশিয়া কাপজয়ী টি-টোয়েন্টি দলের সহ-অধিনায়কও ছিলেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন ম্যাচ নিয়ে গিল বলেন, ভারত সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামলেও আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই, কারণ প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন, তাদের লক্ষ্য নিজেদের মান অনুযায়ী খেলতে পারা, 'আমার মনে হয় না, প্রতিপক্ষ অনুযায়ী আমাদের খেলার তীব্রতা কমে যায়।'
'আমরা কার বিপক্ষে খেলছি, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা আমাদের নিজের তীব্রতা ধরে রাখতে চাই এবং জয় পেতে চাই।'
Comments