পিটিশনে ১২ হাজার সমর্থকের স্বাক্ষর, তবু ভাবলেশহীন টুখেল

দুই বছরের চুক্তিতে বায়ার্ন মিউনিখের দায়িত্ব নিয়েছিলেন টমাস টুখেল। তবে চুক্তির মেয়াদ এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই গত ফেব্রুয়ারিতে তার বিদায়ের ঘোষণা দিয়ে দেয় জার্মান ক্লাবটি। চলতি মৌসুম শেষেই বাভারিয়ানদের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি ঘটবে ৫০ বছর বয়সী কোচের। কিন্তু বায়ার্নের সমর্থকগোষ্ঠির একটি অংশ চাইছে, তিনি যেন থেকে যান।

দীর্ঘ ১১ বছর পর চলতি মৌসুমে বুন্ডেসলিগার শিরোপা জিততে পারেনি বায়ার্ন। পাশাপাশি জার্মান কাপ আর জার্মান সুপার কাপও হাতছাড়া হয়েছে তাদের। তারপরও টুখেলকে দায়িত্বে বহাল রাখতে শুরু হয়েছে স্বাক্ষর সংগ্রহ। ইতোমধ্যে বায়ার্নের ১২ হাজারের বেশি ভক্ত-সমর্থক স্বাক্ষর করেছেন পিটিশনে। কিন্তু তাদের দাবি সত্ত্বেও টুখেল ভাবলেশহীন। তিনি সফলতম জার্মান ক্লাবটিতে থেকে যাওয়ার ব্যাপারে নিজেকে প্রভাবিত হতে দিতে চান না।

আগামীকাল শনিবার বুন্ডেসলিগার ম্যাচে ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের মুখোমুখি হবে বায়ার্ন। এর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে টুখেল বলেছেন, 'যদিও এই বিষয়টা আমার জন্য দারুণ যে তারা (সমর্থকরা) আমাকে (কোচ হিসেবে) রাখতে চায়। তবে এটা আমার কাছে অগ্রাধিকার দেওয়ার মতো কিছু নয়।'

ঘরোয়া মঞ্চে ব্যর্থ হলেও মহাদেশীয় পর্যায়ে একটি শিরোপা জয়ের আশা এখনও টিকে আছে বায়ার্নের। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে তারা। তবে সেখানে অপেক্ষা করছে ভীষণ কঠিন চ্যালেঞ্জ। তাদেরকে মুখোমুখি হতে হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাজা খ্যাত রিয়াল মাদ্রিদকে, যারা প্রতিযোগিতার ইতিহাসে রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন।

দুই দলের সেমিফাইনালের প্রথম লেগ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১ মে, পরের লেগ মাঠে গড়াবে ৯ মে। আপাতত সবকিছু বাদ দিয়ে এই ম্যাচগুলোর দিকে তাকিয়ে আছেন টুখেল, 'এটাকে (পিটিশন) অগ্রাধিকার দিলে হবে না। আগামী ১১ দিন শুধু ফুটবল নিয়েই ভাবতে হবে, অন্য কিছু নয়। আনন্দদায়ক বা অপ্রীতিকর যাই হোক না কেন, আমি নিজেকে এটা দ্বারা প্রভাবিত হতে দিব না।'

বায়ার্নের কোচ হওয়ার আগে চেলসি ও পিএসজির মতো বড় ক্লাবেরও দায়িত্বে ছিলেন টুখেল। তার শূন্যস্থান পূরণের দৌড়ে রয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক কোচ রালফ র‍্যাংনিক। চুক্তির বিষয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে।

Comments

The Daily Star  | English

Ducsu polls: Security measures tightened at Dhaka University

Voting for the long-awaited Ducsu and hall union elections began this morning after a six-year pause

39m ago