২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক সৌদি আরব

ছবি: এএফপি

সবকিছু প্রায় নিশ্চিত ছিল। এবার এলো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। আগামী ২০৩৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করবে সৌদি আরব। একমাত্র প্রার্থী হিসেবে ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতার ২৫তম আসরের স্বাগতিক হওয়ার দৌড়ে ছিল তারা।

বুধবার ফিফা কংগ্রেসের একটি ভার্চুয়াল সভায় ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে সৌদির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গত অক্টোবরে স্বাগতিক হওয়ার লড়াই থেকে সরে দাঁড়ায় ওশেনিয়ার অস্ট্রেলিয়া। ফলে আয়োজক হওয়ার পথে এশিয়ার দেশটির সম্ভাবনা ভীষণ উজ্জ্বল হয়ে যায়। সেটা চূড়ান্ত হলো এবার।

সভায় আরও নিশ্চিত করা হয়েছে, ২০৩০ সালের আসরের তিন মূল আয়োজক আফ্রিকার মরক্কো এবং ইউরোপের স্পেন ও পর্তুগাল। এছাড়া, বিশ্বকাপের শতবর্ষ উপলক্ষে একটি করে ম্যাচ হবে দক্ষিণ আমেরিকার আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়েতে। অর্থাৎ প্রথমবারের মতো তিনটি মহাদেশজুড়ে অনুষ্ঠিত হবে ফুটবলের শীর্ষ প্রতিযোগিতা।

মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ। কাতারের মাটিতে সবশেষ আসর বসেছিল ২০২২ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে। সেখানে রোমাঞ্চকর ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা।

আগামী ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ হবে যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায়। এই আসর থেকে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা ৩২ থেকে বেড়ে হবে ৪৮। অর্থাৎ প্রথম দেশ হিসেবে সৌদি একাই ৪৮ দলের বিশ্বকাপ আয়োজন করবে।

সৌদি আরবের পাঁচটি শহরের ১৫টি স্টেডিয়ামে হবে বিশ্বকাপের খেলা। শহরগুলো হলো রিয়াদ, জেদ্দা, আল খোবার, আভা ও নেওম। আশা করা হচ্ছে, নির্মাণাধীন বাদশাহ সালমান আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আসরের উদ্বোধনী ম্যাচ ও ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণক্ষমতা হবে ৯২ হাজার।

তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী আবদুল আজিজ বিন তুর্কি বিন ফয়সাল আল সৌদ বলেছেন, 'এটি গর্বের একটি দিন, উদযাপনের একটি দিন, এমন একটি দিন যেদিন আমরা সমগ্র বিশ্বকে সৌদি আরবে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমরা আমাদের দেশে বিশ্বকাপের একটি অসাধারণ আসর আয়োজন করতে চাই।'

সৌদিতে বিশ্বকাপ আয়োজনের ব্যাপারে অবশ্য অনেক দিন ধরেই সমালোচনা চলছে। ফিফার ঘোষণার পরপরই বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলো তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তাদের দাবি, দেশটিতে অভিবাসী নির্মাণ শ্রমিকদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia contribution to Bangladesh democracy

A leader who strengthened our struggle for democracy

Khaleda Zia leaves behind an enduring legacy of service.

13h ago