ম্যারাডোনার সময়ের সেই কীর্তির পুনরাবৃত্তির হাতছানি বার্সার সামনে

১৯৮২-৮৩ মৌসুমে বার্সেলোনায় নাম লিখিয়েছিলেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। বোকা জুনিয়র্স থেকে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে টানতে কাতালানদের খরচ করতে হয়েছিল ৫০ লাখ ইউরো। এটি ছিল ওই সময়ে কোনো খেলোয়াড়কে কিনতে সর্বোচ্চ ট্রান্সফার ফির বিশ্বরেকর্ড। ওই মৌসুমে পাঁচবারের দেখায় চারবার রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে জিতেছিল বার্সা। বাকি ম্যাচটি হয়েছিল ড্র।

৪২ বছর পর সেই কীর্তির পুনরাবৃত্তি ঘটানোর হাতছানি রয়েছে রাফিনিয়া-লামিন ইয়ামালদের সামনে। চলতি মৌসুমে আগের তিনবারের সাক্ষাতে তিনবারই রিয়ালকে হারিয়েছে বার্সা। চতুর্থবারের মতো দুই স্প্যানিশ পরাশক্তি মুখোমুখি হচ্ছে রোববার। লা লিগায় ফিরতি দেখায় বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ১৫ মিনিটে শুরু হবে খেলা। প্রতিযোগিতার শিরোপার ভাগ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এই ম্যাচ। কারণ, দুই দলের মধ্যে পয়েন্টের ব্যবধান মাত্র চার এবং চলতি আসরে আর মাত্র চারটি রাউন্ডের খেলা বাকি।

গত অক্টোবরে লা লিগায় প্রথম দেখায় রিয়ালকে তাদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতেই ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয় হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। এরপর জানুয়ারিতে জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ফাইনালে ৫-২ গোলের বড় ব্যবধানে জিতে স্প্যানিশ সুপার কাপে চ্যাম্পিয়ন হয় দলটি। আর গত মাসের শেষদিকে সেভিয়ায় অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো লড়াইয়ে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের ৩-২ গোলে হারিয়ে কোপা দেল রের শিরোপা উঁচিয়ে ধরে তারা।

এবার ঘরের মাঠ লুইস কম্পানিস অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রিয়ালকে পরাস্ত করতে পারলেই বার্সেলোনার লা লিগায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া একরকম নিশ্চিত। পাশাপাশি একই মৌসুমে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বিপক্ষে চারটি জয়ের কীর্তি দ্বিতীয়বারের মতো করবে তারা।

১৯৮২-৮৩ মৌসুমে লা লিগায় চতুর্থ হয়েছিল বার্সা। তবে দুইবারই রিয়ালের বিপক্ষে জিতেছিল তারা। প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষের মাঠে ২-০ গোলে, পরেরবার নিজেদের ডেরায় ২-১ গোলে। দুই দলের মধ্যে জারাগোজায় অনুষ্ঠিত কোপা দেল রের ফাইনালেও শেষ হাসি হেসেছিল বার্সেলোনা। ২-১ গোলে জিতে শিরোপার উল্লাসে মেতেছিল দলটি। এছাড়া, বর্তমানে বিলুপ্ত প্রতিযোগিতা কোপা দে লা লিগার ফাইনালেও পরস্পরকে মোকাবিলা করেছিল তারা। রিয়ালের আঙিনায় ২-২ গোলে ড্রয়ের পর ঘরের মাঠে ২-১ গোলে জিতে বার্সা হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন।

বার্সার নিজের প্রথম মৌসুমে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে আলো ছড়িয়েছিলেন প্রয়াত বিশ্বকাপজয়ী ফরোয়ার্ড ম্যারাডোনা। লা লিগায় ১১ গোলসহ সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেছিলেন ২৩ গোল। তিনি ছিলেন ওই মৌসুমে কাতালানদের সর্বোচ্চ গোলদাতা। রিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচগুলোতেও ভয়ঙ্কর রূপে দেখা গিয়েছিল তাকে। মোট চারটি গোল ও পাঁচটি অ্যাসিস্ট করেছিলেন তিনি।

উল্লেখ্য, এবারের মৌসুমে ৩৪ ম্যাচে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগায় শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল।

Comments

The Daily Star  | English
Yunus, Charter, and Our Future

Yunus, Charter, and Our Future

Can the vision for 'New Bangladesh' ignore the poor, farmers, workers, youth, women, or employment and climate crises?

18h ago