সুয়ারেজের সঙ্গে মেসির নতুন অধ্যায়

বার্সেলোনার গৌরবময় দিনগুলো থেকে শুরু করে ইন্টার মায়ামিতে পুনর্মিলন—লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজের বন্ধুত্বপূর্ণ পথচলা এখন পৌঁছেছে এক নতুন অধ্যায়ে। এবার তারা একসঙ্গে গড়ে তুলেছেন একটি পেশাদার ফুটবল ক্লাব দেপোর্তিভো এলএসএম, যা উরুগুয়ের পেশাদার লিগে অংশ নেবে।

এর আগে ক্লাবটির নাম ছিল দেপোর্তিভো এলএস, যা ২০১৮ সালে সুয়ারেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন উরুগুয়ের সিউদাদ দে লা কস্তা শহরে। স্থানীয় প্রতিভা বিকাশ ও সামাজিক দায়িত্ব পালনের লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল ক্লাবটির।

মঙ্গলবার সুয়ারেজ ঘোষণা দেন, ক্লাবটির নাম পরিবর্তন করে 'এলএসএম' রাখা হয়েছে — যেখানে 'এম' এসেছে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসির প্রতি সম্মান জানিয়ে। মেসি এবার আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লাবের অংশীদার হিসেবে যুক্ত হয়েছেন এই প্রকল্পে। এই ক্লাব উরুগুয়ের চতুর্থ বিভাগীয় পেশাদার লিগে অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরবর্তী ধাপে পা রাখতে যাচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বার্তায় সুয়ারেজ বলেন, 'দেপোর্তিভো এলএস ছিল আমাদের পরিবারের স্বপ্ন, যা শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। এখন আমাদের ৩ হাজারের বেশি সদস্য ও উন্নত অবকাঠামো রয়েছে। সেই কারণে ক্লাবটিকে উরুগুয়ে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এইউএফ) কাঠামোতে আনছি, যুব ও পেশাদার দুই স্তরেই।'

'এই প্রকল্প ফুটবলের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নেওয়ার সেরা জায়গা। তাই আমি আমার বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি এই পেশাদার প্রকল্পে যুক্ত হতে,' যোগ করেন তিনি।

মেসিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, 'আমি লুইসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এমন একটি প্রকল্পে আমাকে যুক্ত করার জন্য, যা সে অনেক বছর ধরে গড়ে তুলেছে এবং আজ এতটা বিস্তৃত হয়েছে। আমি আশা করি, এর অগ্রগতিতে আমার পক্ষ থেকেও যথাসম্ভব অবদান রাখতে পারবো এবং সবসময় তার পাশে থাকতে পারবো।'

মেসি ও সুয়ারেজের বন্ধুত্ব শুরু বার্সেলোনায়, ২০১৪ থেকে ২০২০ পর্যন্ত মাঠে ছিলেন দুর্ধর্ষ এক জুটি। ৬ বছরে একসঙ্গে জিতেছেন ১৩টি বড় শিরোপা — যার মধ্যে রয়েছে একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, চারটি লা লিগা ও চারটি কোপা দেল রে।

২০২৩ সালে ইন্টার মায়ামিতে আবার একসঙ্গে হন তারা। বার্সার সাবেক সতীর্থ জর্দি আলবা ও সার্জিও বুসকেতসকেও নিয়ে ২০২৪ সালে ইন্টার মায়ামিকে জিতিয়েছেন এমএলএস সাপোর্টার্স শিল্ড। এবার মাঠের বাইরেও শুরু হলো তাদের একসাথে এগিয়ে চলার নতুন পথ — উরুগুয়ান ফুটবলে এক অনন্য অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে দেপোর্তিভো এলএসএম-এর হাত ধরে।

Comments

The Daily Star  | English
remittance earning of Bangladesh

Remittance rises 30% in July

Migrants sent home $2.47 billion in the first month of the current fiscal year

6h ago