মেসির বিপক্ষে 'আবেগঘন' পুনর্মিলনের প্রস্তুতি পিএসজির

কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লক্ষে আজ রাতেই ইন্টার মায়ামির বিপক্ষে মাঠে নামছে প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। এই ম্যাচটিকে ঘিরে বিশেষ এক আবেগ ছুঁয়ে যাচ্ছে পিএসজি কোচ লুইস এনরিকেকে। দীর্ঘদিন পর তিনি আবার মুখোমুখি হচ্ছেন তার সাবেক শিষ্য লিওনেল মেসির।

২০২১ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেন মেসি, তখন লুইস এনরিকে কোচ ছিলেন না। তবে বার্সায় থাকাকালীন তিনি মেসি ছাড়াও ইন্টার মায়ামির বর্তমান খেলোয়াড় লুইস সুয়ারেজ, সের্জিও বুসকেতস, জর্দি আলবা এবং কোচ হাভিয়ের মাশচেরানোর সঙ্গে কাজ করেছিলেন। ২০১৫ সালে এই কোচের অধীনেই বার্সেলোনা ঐতিহাসিক ট্রেবল জিতেছিল।

মেসি ২০২৩ সালে পিএসজি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে যোগ দেন। তার পিএসজি অধ্যায়ে দুটি লিগ শিরোপা এলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি অধরাই থেকে যায়। তবে এনরিকে আসার পর সেই শূন্যতা পূরণ হয়েছে—এই মৌসুমে তিনি পিএসজিকে প্রথমবারের মতো ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্ব এনে দিয়েছেন ফাইনালে ইন্টার মিলানকে হারিয়ে।

শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এনরিকে বলেন, 'এই ম্যাচটি আমার জন্য, ক্লাবের জন্য, এবং যারা মেসির সঙ্গে খেলেছে তাদের জন্য আবেগঘন হতে যাচ্ছে। সুয়ারেজ, বুসকেতস, আলবা, মাশচেরানোদের সঙ্গে আবার দেখা। এরা শুধু খেলোয়াড় নয়, আমার জন্য এর চেয়েও বেশি কিছু। ম্যাচের আগে ও পরে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে, যা বিশেষ মুহূর্ত হয়ে থাকবে।'

মেসিকে নিয়ে এই কোচ বললেন, 'মেসির উপস্থিতিই আমাদের জন্য একটি বড় মোটিভেশন। সে এখনো অনন্য। বুসকেতস যেমন আগের মতোই, তেমনি মেসিও বল পায়ে এখনও অতুলনীয়। আর লুইস সুয়ারেজের শেষ গোল তো সবাই দেখেছেন... সঙ্গে মাশচেরানোর মতো একজন কোচ।'

পিএসজি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলেও তাদের পিপাসা এখনো শেষ হয়নি বলেও জানান এনরিকে, 'আমরা প্রমাণ করতে চাই আমাদের আরও উন্নতির জায়গা আছে, প্রতিযোগিতা করার তীব্র ইচ্ছা আছে। এই চমৎকার স্টেডিয়ামেই তার আদর্শ মঞ্চ। যেখানে প্রতিপক্ষের দলে আছেন একজন লিওনেল মেসি। তিনি কেবল বার্সা সমর্থকদের নয়, ফুটবলপ্রেমী সবার শ্রদ্ধার পাত্র।'

মেসিকে থামানোর কৌশল নিয়েও খোলাখুলি বলেন এনরিকে, 'মেসি যেকোনো খেলোয়াড়কে ড্রিবল করে ফেলতে পারে। তাকে একা থামানো সম্ভব নয়—তার জন্য দরকার সম্মিলিত রক্ষণ। না হলে আমরা মরেই গেছি!'

Comments

The Daily Star  | English

Nepali police fire tear gas and rubber bullets at protesters outside parliament

Authorities imposed a curfew around the parliament building after thousands of the protesters tried to enter the legislature by breaking a police barricade.

16m ago