এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ

মুরাসের কাছে হেরে প্লে-অফ থেকে আবাহনীর বিদায়

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রায় এক মাস ধরে নেওয়া প্রস্তুতির ছাপ আবাহনী লিমিটেড রাখতে পারল না মাঠে। সাদামাটা পারফরম্যান্সে মুরাস ইউনাইটেডের বিপক্ষে লড়াইও জমাতে ব্যর্থ হলো তারা। ফলে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্লে-অফ থেকে বিদায় নিল মারুফুল হকের শিষ্যরা।

ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক পর্বের ম্যাচে মঙ্গলবার কিরগিজ ক্লাব মুরাসের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী দলটি। সফরকারীদের পক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া লক্ষ্যভেদ করেন আতাই জুমাশেভ।

ছয় বছর পর এশিয়ান ক্লাব প্রতিযোগিতায় ফেরার স্বপ্ন দেখেছিল আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত নৈপুণ্য দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ছয়বারের শিরোপাজয়ীরা।

২০১৯ সালে শেষবার এএফসি কাপের (এশিয়ার দ্বিতীয় স্তরের ক্লাব টুর্নামেন্ট) গ্রুপ পর্বে খেলেছিল আবাহনী। তবে ২০২২-২৩ মৌসুমে প্রতিযোগিতাটি বিলুপ্ত করে দেয় এশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আর চ্যালেঞ্জ লিগ (এশিয়ার তৃতীয় স্তরের ক্লাব টুর্নামেন্ট) চালু হয়েছে গত ২০২৪-২৫ মৌসুম থেকে।

ম্যাচের শুরুর থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবলে আবাহনীর রক্ষণভাগকে চাপে রাখে মুরাস। গোলরক্ষক মিতুল মারমা প্রথমার্ধে বাধার দেয়াল হয়ে জাল অক্ষত রাখলেও দ্বিতীয়ার্ধে ধরে যায় চিড়। আর আক্রমণভাগেও কার্যকর কিছু তৈরি করতে পারেনি স্বাগতিকরা।

দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে আবাহনীকে আঘাত করে মুরাস। আন্দ্রে বাতসুলার ক্রসে ডি-বক্সের মধ্যে ফাঁকায় থাকা জুমাশেভ হেডে জাল কাঁপিয়ে দলকে এগিয়ে দেন। গোল হজমের পরও খেলায় ফিরতে পারেনি মারুফুলের দল।

অতিরিক্ত সময়ে রক্ষণভাগের ভুলে আবার বল জড়ায় আবাহনীর জালে। ইয়াসিন খানের পাস নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যর্থ হন কামরুল ইসলাম। সেই সুযোগে বল নিয়ে ডানদিক দিয়ে বক্সে ঢুকে কোণাকুণি শটে মিতুলকে পরাস্ত করেন জুমাশেভ।

শেখ মোরসালিন, সুলেমানে দিয়াবাতে, আল আমিনকে নিয়ে ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখছিল আবাহনী। তবে প্লে-অফ থেকে ছিটকে যাওয়ায় তাদের এশিয়ান ক্লাব প্রতিযোগিতায় ফেরার অপেক্ষা আরও বাড়ল।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh Purchasing Managers’ Index

Bangladesh’s economy might have expanded in August: PMI

Growth stalls in agriculture, construction, as input costs and employment decline

52m ago