প্রিমিয়ার লিগে নেমে রান পেলেন না লিটন

ছবি: সংগৃহীত

হতশ্রী ব্যাটিংয়ের কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের তিন ম্যাচের সিরিজের শেষ ওয়ানডের দল থেকে বাদ পড়ার পরদিনই মাঠে নেমে গেলেন লিটন দাস। কিন্তু ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের এবারের আসরে নিজের প্রথম ম্যাচে সুবিধা করতে পারলেন না তিনি। তিনে নম্বরে নেমে ক্রিজে থিতু হওয়ার আগেই ডানহাতি উইকেটরক্ষক-ব্যাটার আউট হয়ে গেলেন এক অঙ্কের রানে।

রোববার সাভারের বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে লক্ষ্য তাড়ায় ৫ রানে আউট হয়ে যান লিটন। ১৯ বল মোকাবিলা করে কোনো বাউন্ডারি মারতে পারেননি তিনি। বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানির কিছুটা লাফিয়ে ওঠা ডেলিভারিতে হয়ে যান বোল্ড। তিনি বলের লাইন মিস করায় ভেঙে যায় অফ স্টাম্প।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান সিরিজে টানা দুই ম্যাচে ওপেনিংয়ে নেমে শূন্য রানে আউট হয়ে বাংলাদেশের বিপদ ডেকে আনেন লিটন। ওয়ানডেতে তার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স খুবই হতাশাজনক। গত বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত খেলা ২৭ ম্যাচে তার গড় স্রেফ ২০.২৫। এর মধ্যে সাত ইনিংসেই তিনি রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হন। এই সময়ে ওয়ানডেতে এত বেশিবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন কেবল সংযুক্ত আরব আমিরাতের জুনায়েদ সিদ্দিকি।

বিসিবির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লিটনকে বাদ দেওয়ার ব্যাপারে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু ব্যাখ্যা ছিল, সাদা বলে লিটনের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের কারণেই এই সিদ্ধান্ত। পরে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, নতুন বলে লিটন ভালো না করায় তারা এমন পথে হাঁটছেন।

লিটনের আরেকটি বিবর্ণ দিনে অবশ্য জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে আবাহনী। তারা ৯৫ বল হাতে রেখে শাইনপুকুরকে অনায়াসে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে। টস জিতে আগে ব্যাট করে ৪২.৪ ওভারে ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায় শাইনপুকুর। জবাবে আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা ৩ উইকেটে ১৭২ রান তুলে শেষ হাসি হাসে।

আবাহনীর হয়ে বল হাতে আঁটসাঁট থেকে ৩ উইকেট নেন পেসার খালেদ আহমেদ। ৬ ওভারে তিনি দেন মাত্র ১৭ রান। সমান সংখ্যক উইকেট নিতে অফ স্পিনে আফিফ হোসেন ১০ ওভারে খরচ করেন ৩৪ রান। শাইনপুকুরের পক্ষে অধিনায়ক আকবর আলী খেলেন ৪৪ বলে ৫৫ রানের ইনিংস। মেহেরব হোসেন অপরাজিত থাকেন ৭৯ বলে ৫০ রানে। ষষ্ঠ উইকেটে তাদের ৬৩ রানের জুটির আগে মাত্র ৪৭ রানে ব্যাটিং লাইনআপের প্রথম পাঁচ ব্যাটার ফেরেন সাজঘরে।

এরপর ব্যাট হাতে ঝলক দেখান নাঈম শেখ ও মাহমুদুল হাসান জয়। ওপেনার নাঈম ৮৭ বলে ৪ চার ও ৩ ছয়ে করেন ৬৬ রান। চারে নেমে জয় অপরাজিত থাকেন ৫১ রানে। ম্যাচের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে আসরে টানা দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন তিনি। ৫৯ বলে তিনি মারেন ৩ চার ও ২ ছক্কা। জয়ের সঙ্গে ৭৬ রানের জুটি গড়া আফিফ হোসেন করেন ৩০ বলে অপরাজিত ২৫ রান।

Comments

The Daily Star  | English

Hopes run high as DU goes to vote today

The much-anticipated Ducsu and hall union elections are set to be held today after a six-year pause, bringing renewed hope for campus democracy.

5h ago