রিয়ালে আনতে কোনাতেকে দুই ঘণ্টা পরপর ফোন করেন এমবাপে!

লিভারপুলের ফরাসি ডিফেন্ডার ইব্রাহিমা কোনাতে সম্প্রতি রসিকতার ছলে জানালেন, কিলিয়ান এমবাপে নাকি নিয়মিত ফোন করে তাঁকে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। যদিও কথাটি মজা করে বলা, কিন্তু এর আড়ালে লুকিয়ে আছে বাস্তব এক অনিশ্চয়তা।
কোনাতের সঙ্গে লিভারপুলের চুক্তি শেষ বছরে পৌঁছেছে এবং নতুন করে কোনও সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ। ফলে তাকে ঘিরে মাদ্রিদ শিবিরের আগ্রহ এখন ইউরোপীয় ফুটবল অঙ্গনে আলোচনার অন্যতম বিষয়।
ফরাসি টেলিভিশন চ্যানেল টিএফ১-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোনাতে মজার ছলে বলেন, 'সে (এমবাপে) আমাকে প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর ফোন করে! না, না, না।' তার এই মন্তব্যে হাস্যরস থাকলেও ভক্তদের মধ্যে প্রশ্ন জেগেছে, এমবাপের উপস্থিতি ও প্রভাব কি কোনাতের ভবিষ্যৎ গন্তব্য নির্ধারণে কোনো ভূমিকা রাখবে?
বর্তমানে জাতীয় দলের দায়িত্ব সামলাতে কোনাতে ও এমবাপে দুজনেই মঙ্গলবার নামবেন আইসল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচে। আন্তর্জাতিক বিরতি শেষে আবার তারা ফিরবেন নিজ নিজ ক্লাবে।
লিভারপুল সম্প্রতি ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডকে হারানোর বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা থেকে এখনো পুরোপুরি সেরে উঠতে পারেনি। তাই কোনাতেকে ধরে রাখার লড়াই তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বছরের শুরু থেকেই লিভারপুল কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালাচ্ছে তাকে নতুন চুক্তিতে রাজি করাতে।
তবে আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে যে হয়তো ফরাসি ডিফেন্ডার ইতিমধ্যেই রিয়ালের সঙ্গে অগ্রসর আলোচনায় জড়িয়ে পড়েছেন। ক্লাব চায় না যে ২০২৬ সালে বিনা মূল্যে এমন প্রতিভাবান ফুটবলারকে হারাতে হোক, যেমনটা হয়েছে আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের ক্ষেত্রে।
এদিকে ট্রান্সফার মার্কেটে এবার লিভারপুল বিক্রি করেছে তরুণ ডিফেন্ডার জারেল কোয়ানসাহকে, যিনি ৩৪ মিলিয়ন পাউন্ডে যোগ দিয়েছেন জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার লেভারকুসেনে। বিপরীতে তারা পার্মা থেকে ১৮ বছরের প্রতিশ্রুতিশীল ডিফেন্ডার জিওভান্নি লেওনিকে দলে টেনেছে প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে।
তবে ক্রিস্টাল প্যালেসের ডিফেন্ডার মার্ক গুহিকে আনার জোরালো চেষ্টা চালিয়েছিল লিভারপুল। আলোচনাও প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু ডেডলাইনের শেষ ঘণ্টায় সেই আলোচনা ভেস্তে যায়।
Comments