ইতিহাদে ডি ব্রুইনার আবেগঘন প্রত্যাবর্তন

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রোমাঞ্চে গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ম্যানচেস্টার সিটি বনাম নাপোলি। রাতেই ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ইংলিশ জায়ান্টদের মুখোমুখি হবে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচটি ঘিরে উত্তেজনা একাধিক কারণে। গোলমেশিন হালান্ডের সম্ভাব্য রেকর্ড, গার্দিওলা বনাম কন্তের লড়াইয়ের সঙ্গে সবচেয়ে বড়ো আকর্ষণ কেভিন ডি ব্রুইনার ইতিহাদে ফেরা।
এক দশকের বেশি সময় ধরে ম্যানসিটির মধ্যমাঠ মাতিয়েছেন ডি ব্রুইনা। সিটির হয়ে জার্সি গায়ে তুলেছেন ৪২২ বার, গোল করেছেন ১০৮টি, জিতেছেন ১৬টি ট্রফি। কিন্তু গত জুনে চুক্তির মেয়াদ শেষে তাকে আর রাখেনি ক্লাবটি। বিদায়ের সময় এই বেলজিয়ান তারকা বলেছিলেন, বাধ্য হয়েই ছাড়তে হয়েছে ভালোবাসার ক্লাব। এখন সেই ডি ব্রুইনাই ফিরছেন প্রাক্তন ক্লাবের বিপক্ষে, তবে প্রতিপক্ষের জার্সি গায়ে।
৩৪ বছর বয়সে নাপোলিতে যোগ দিয়ে আবারও নতুন করে আলোচনায় এসেছেন ডি ব্রুইনা। ইতালিয়ান গণমাধ্যমে তার আগমনকে তুলনা করা হচ্ছে ডিয়েগো ম্যারাডোনার আগমনের সঙ্গেও। নাপোলি-ভিত্তিক সাংবাদিক ভিনচেঞ্জো ক্রেদেনদিনো জানিয়েছেন, ম্যারাডোনার বিদায়ের পর ডি ব্রুইনার মতো এত বড় তারকা নাপোলিতে আসেননি। যদিও ম্যারাডোনা এসেছিলেন ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে, আর ব্রুইনা যোগ দিয়েছেন ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে। তবুও নাপোলি সমর্থকদের কাছে তিনি এখনই অনুপ্রেরণার প্রতীক।
নাপোলির অধিনায়ক জিওভান্নি দি লোরেঞ্জো তাকে একজন 'গ্রেট ক্যাপ্টেন' বলে বর্ণনা করেছেন। তার ভাষায়, 'তিনি কখনোই তার অতীত টিমমেটদের নিয়ে কথা বলেন না। তবে আমি নিশ্চিত, যখন তিনি ইতিহাদে ফিরবেন, বিষয়টি বেশ উপভোগ করবেন।'
এছাড়া মাঠে নামলেই দৃষ্টি থাকবে আরলিং হালান্ডের দিকেও। ইতিমধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৪৮ ম্যাচে ৪৯ গোল করেছেন। আজ একটি গোল পেলেই পৌঁছে যাবেন ৫০-এর মাইলফলকে, যা হবে প্রতিযোগিতার ইতিহাসে দ্রুততম। ভাংবেন রুড ভ্যান নিস্টলরয়ের ৬২ ম্যাচের রেকর্ডকে।
ম্যানসিটি টানা ২১টি হোম গ্রুপপর্বের ম্যাচে অপরাজিত (১৮ জয়, ৩ ড্র)। এর মধ্যে ১৬ ম্যাচের ১৩টিতেই তারা করেছে তিন বা তার বেশি গোল। তবে আজকের প্রতিপক্ষ নাপোলির কোচ অ্যান্তোনিও কন্তের বিপক্ষে গার্দিওলার রেকর্ড নেতিবাচক। সাত ম্যাচে চার বার হেরেছেন তিনি।
এর আগে চারবার মুখোমুখি হয়েছে ম্যানসিটি ও নাপোলি। ২০১১-১২ মৌসুমে কোনো জয় পায়নি সিটি (১ ড্র, ১ হার), তবে ২০১৭-১৮-তে দুই ম্যাচই জিতেছিল তারা। নাপোলির জন্য অশনি সংকেত আরও একটি, তারা এখনো ইংল্যান্ডে কোনো ইউরোপিয়ান ম্যাচ জিততে পারেনি (১২ ম্যাচে ৯ হার, ৩ ড্র)।
Comments