ব্যালন ডি’অর: দেম্বেলের কল্যাণে আর্জেন্টিনাকে স্পর্শ করল ফ্রান্স

প্রত্যাশা অনুসারে ফরাসি ফরোয়ার্ড উসমান দেম্বেলে ২০২৫ সালের ব্যালন ডি'অর জিতেছেন। পিএসজির জার্সিতে জ্বলে উঠে তিনি গত ২০২৪-২৫ মৌসুমে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখান। ব্যক্তিগত পর্যায়ে নিজেকে মেলে ধরার পাশাপাশি ক্লাবের হয়ে চারটি শিরোপার স্বাদ নেন। এর মধ্যে সেরা অর্জন ছিল উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা উঁচিয়ে ধরা।
প্যারিসের ঐতিহাসিক থিয়াত্র দ্যু শাতলেতে সোমবার রাতে জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ব্যালন ডি'অরের ৬৯তম আসর। ২৮ বছর বয়সী দেম্বেলের হাতে ট্রফি তুলে দেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদিনিয়ো। দেম্বেলের বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়ার ফলে তার জাতীয় দল ফ্রান্সও গড়েছে ইতিহাস। সবচেয়ে বেশি ব্যালন ডি'অরজয়ী দেশের তালিকায় তারা ভাগ বসিয়েছে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার রেকর্ডে।
দেম্বেলের ট্রফি জেতার মাধ্যমে ফ্রান্সের পাওয়া ব্যালন ডি'অরের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে আটটি। এতদিন আর্জেন্টিনা এককভাবে ছিল এই তালিকার শীর্ষে। তাদের আটটি ব্যালন ডি'অরের সবগুলো জিতেছেন তর্কসাপেক্ষে ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি। তিনি ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫, ২০১৯, ২০২১ ও ২০২৩ সালে বর্ষসেরা হয়েছেন।
আর্জেন্টিনার ব্যালন ডি'অরগুলো যেখানে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এসেছে, সেখানে ফ্রান্সের ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। তাদের আটটি পেয়েছেন ছয়জন ফুটবলার মিলে। দেশটির হয়ে সবার আগে ১৯৫৮ সালে ব্যালন ডি'অর জেতেন রেমন্ড কোপা। এরপর মিশেল প্লাতিনি টানা তিনবার— ১৯৮৩, ১৯৮৪ ও ১৯৮৫ সালে বর্ষসেরা হন। একবার করে ট্রফি হাতে তোলেন জ্যঁ-পিয়েরে পাপা (১৯৯১), জিনেদিন জিদান (১৯৯৮) ও করিম বেনজেমা (২০২২)।
যৌথভাবে এক নম্বরে থাকা আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের ঠিক পিছনে একসঙ্গে রয়েছে তিনটি দেশ আছে— জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও পর্তুগাল। তারা সাতবার করে ব্যালন ডি'অর জিতেছে। এর মধ্যে জার্মানির ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার ও কার্ল-হাইনৎস রুমেনিগে দুবার করে, নেদারল্যান্ডসের ইয়োহান ক্রুইফ ও মার্কো ফন বাস্তেন তিনবার করে এবং পর্তুগালের ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো একাই পাঁচবার বর্ষসেরার স্বাদ নিয়েছেন।
ব্যালন ডি'অর হলো 'ফ্রান্স ফুটবল' নামক ফরাসি ম্যাগাজিনের দেওয়া বার্ষিক পুরস্কার। ১৯৫৬ সাল থেকে এটি দেওয়া হচ্ছে। আগের মৌসুমে সেরা পারফর্ম করা ফুটবলারকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। ব্যক্তিগত পর্যায়ে এটি ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার। পুরস্কারজয়ীদের নিয়ে নানা সময়ে তর্ক-বিতর্ক উঠলেও ব্যালন ডি'অরের আবেদন এখনও অটুট রয়েছে।
Comments