দুই গোলে এগিয়েও জাপানের কাছে প্রথমবার হারল ব্রাজিল

দক্ষিণ কোরিয়াকে গত সপ্তাহে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিলো ব্রাজিল। প্রবল আত্মবিশ্বাস থেকে একাদশে অনেকগুলো বদল এনে জাপানের বিপক্ষে নামে কার্লো আনচেলত্তির দল। প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। কিন্তু বিরতির পর ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ফ্র্যাব্রিসিও ব্রুনোর দুই ভুলের সুযোগ নিয়ে পাশার দান উল্টে দারুণ তিন গোলে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে জাপান।
টোকিওতে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ৩-২ গোলে ব্রাজিলকে হারিয়েছে জাপান। শুরুতে ব্রাজিলের হয়ে গোল করেন পাওলো হেনরিকস ও গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি। জাপানের তিন গোলদাতা তাকুমি মিনামিনু, কেইতো নাকামুরার ও আয়েসে উয়েদা। আগের ১১ দেখায় কখনই ব্রাজিলকে হারাতে পারেনি জাপান, দুটি ম্যাচ ড্র করেছিলো তারা। এবার ব্রাজিলকে হারানোর স্বাদ পেল এশিয়ার দল।
শুরুর একাদশে অনেকগুলো বদল নিয়ে নামেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি। একাদশে সুযোগ পান লুকাস বেরালদো, কার্লোস আগুস্তো, পাওলো হেনরিকস, লুইস হেনরিকস। আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা রদ্রিগো, এস্তেভাওরা বসেন বেঞ্চে।
নতুনদের নিয়ে গুছিয়ে নিয়ে দ্রুতই পরিকল্পিত আক্রমণে যায় তারা। ২৬ মিনিটেই এগিয়ে যায় পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ডি-বক্সের বাইরে সুন্দর লিঙ্ক-আপ প্লে এবং দ্রুত পায়ের কাজ থেকে বলটি স্লাইড করে পৌঁছায় পাওলো হেনরিকের কাছে। তিনি প্রথম স্পর্শেই দারুণ দক্ষতায় বল জালে জড়িয়ে দেন। সাইডলাইনে কার্লো আনচেলত্তির মুঠোবদ্ধ হাত উঁচিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। জাপানিজ ডিফেন্সের এর বিরুদ্ধে কিছুই করার ছিল না।
৬ মিনিট পর ব্যবধান হয়ে যায় দ্বিগুণ। ডি-বক্সের কিনারায় লিঙ্ক-আপ খেলার পর, ডিফেন্সের ওপর দিয়ে একটি উঁচু করে চিপ করা পাস পেয়ে গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি পেছনে জায়গা করে নেন। প্রথম স্পর্শেই বাঁ-পায়ের হাফ-ভলিতে সুজুকির নাগালের বাইরে দিয়ে দূরবর্তী কোণে বলটি জালে জড়িয়ে দেন তিনি।

বিরতির পর ডিফেন্সের ভুলে গোল হজম করে ব্রাজিল। ফ্যাব্রিসিও ব্রুনো সতীর্থককে পাস দিতে গিয়ে প্রতিপক্ষের পায়ে বল তুলে দেন। সুযোগ পেয়ে তাকুমি মিনামিনু গোল শোধ করতে কোন ভুল করেননি।
৬৩ মিনিটে সমতা ফেরায় স্বাগতিকরা। আবারও ব্রাজিলের ভিলেন ডিফেন্ডার ব্রুনো। কেইতো নাকামুরার জোরালো শট তার গায়ে তার দুর্বল ডিফেন্স ভেদ করে জালে জড়িয়ে যায়। ৭১ মিনিটে এগিয়ে যায় ব্লু সামুরাইরা। জুনিয়া ইতোর নেওয়া কর্নার কিক থেকে আয়েসে উয়েদা হেডে গোল দিয়ে মাতেন উৎসবে। বাঁধভাঙা আনন্দে মেতে উঠে টোকিওর গ্যালারি।
গোল হজম করে এস্তেভাও, ম্যাথিউস কুনহা, রিচার্লিসন, রদ্রিগোদের নামিয়েছলেন আনচেলত্তি। শেষ দিকে একের পর এক আক্রমণে অনেকগুলো সুযোগও তৈরি করেছিলেন তারা। কিন্তু গোলের মুখ আর খুলেনি। জাপানের উৎসবের মাঝে মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়তে হয় ব্রাজিলিয়ানদের।
Comments