কোচ হলে ভারতের বিপক্ষে নিজেকে শুরুর একাদশে রাখতেন জামাল
বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেছেন, যদি তাকে কোচের দায়িত্ব দেওয়া হতো, তাহলে ভারতের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে তিনি নিজেকে শুরুর একাদশে রাখতেন।
বৃহস্পতিবার দলীয় ম্যানেজার আমের খানের কাছে রিপোর্ট করার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জামাল এই মন্তব্য করেন। ভারতের বিপক্ষে আসন্ন ম্যাচটি ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে ১৪ জন খেলোয়াড় রেসিডেনশিয়াল ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন।
স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা বর্তমানে নবজাতক সন্তানের সঙ্গে স্পেনে অবস্থান করছেন। তাই খেলোয়াড়রা শুক্রবার থেকে সহকারী কোচদের তত্ত্বাবধানে অনুশীলন শুরু করবেন। আশা করা হচ্ছে, কাবরেরা ৩ নভেম্বর ক্যাম্পে যোগ দেবেন—সেই দিনই কুয়েতে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ অভিযান শেষে বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়রাও দলে যোগ দেবেন।
ভারতের বিপক্ষে শুরুর একাদশে খেলার সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে জামাল বলেন, 'যদি আমি কোচ হতাম, আমি বেঞ্চে বসে থাকতে চাইতাম না। তবে শুরুর একাদশে থাকা না থাকা পুরোপুরি কোচের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।'
গত জুনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচে জামালকে নামানো হয়নি। তবে হংকংয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই তিনি বদলি হিসেবে মাঠে নামেন। জামাল আরও বলেন, 'আজ ক্যাম্পের প্রথম দিন এবং এখনো পুরো দল আসেনি। তবে আমি আশা করছি, হামজা ও শমিতসহ সবাই কয়েক দিনের মধ্যেই যোগ দেবে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি বড় কারণ, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে লড়াইয়ের ইতিহাস রয়েছে। আমরা জিততে চাই, কারণ দীর্ঘদিন পর ভারত বাংলাদেশে খেলতে আসছে।'
ম্যানেজার আমের খান জানান, হামজা চৌধুরী ও শমিত সোমকে ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে পাওয়া যাবে। হামজা ১০ নভেম্বর ঢাকায় আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে, আর কানাডা থেকে শমিতের আগমন নিশ্চিত হবে ক্লাবে তার ৮ নভেম্বরের ম্যাচের পর।
প্রস্তুতি শিবির আগেভাগে শুরু করার কারণ ব্যাখ্যা করে আমের বলেন, 'ফেডারেশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারণ এখন অনেক খেলোয়াড়ই খেলাধুলা থেকে কিছুটা দূরে, তাই তারা একটু ঢিলেঢালা হয়ে গেছে। বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়রা সম্ভবত ৩ নভেম্বর যোগ দেবে, তখন কোচও ফিরে আসবেন।'
যেসব খেলোয়াড় ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন তারা হলেন: শাকিল হোসেন, কাজেম কিরমানে, মিতুল, ইব্রাহিম, আল আমিন, শেখ মোরসালিন, জামাল ভূঁইয়া, সুজন হোসেন, রহমত মিয়া, শাকিল আহাদ টপু, আবদুল্লাহ ওমর, তারেক কাজী, জায়ান আহমেদ এবং আরমান ফয়সাল আকাশ।


Comments