তিন বছর পর নেইমারের হ্যাটট্রিক
ফুটবল মাঠে অনেকেই প্রতিভা দেখান, কেউ কেউ জাদুও দেখান, কিন্তু ব্যথাকে উপেক্ষা করে দলকে বাঁচাতে একাই লড়াই করার সাহস? সেটা দেখানোর মতো খেলোয়াড় খুব কমই দেখা যায়। যার মধ্যে অন্যতম নেইমার জুনিয়র।
হাঁটুর গুরুতর মেনিসকাস চোট নিয়ে যখন মৌসুম শেষে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিচ্ছিলেন চিকিৎসকেরা, তখন ব্রাজিলিয়ান তারকা সিদ্ধান্ত নিলেন, সান্তোস যখন অবনমনসীমায় টিকে থাকার লড়াইয়ে, তিনি সাইডলাইনে বসে থাকতে পারেন না। আর সেই সিদ্ধান্তই রোববার রাতে পরিণত হলো এক মহাকাব্যিক পারফরম্যান্সে।
বাম হাঁটুর ব্যথা এবার তাকে থামাতে পারেনি। বরং সেই যন্ত্রণাকেই শক্তিতে রূপ দিলেন নেইমার, আর তিন বছর পর ফিরিয়ে আনলেন ক্যারিয়ারের অন্যতম স্মরণীয় হ্যাটট্রিক। রোববার জুভেনতুদেকে ৩–০ গোলে হারানোর সবগুলো গোলই এসেছে তার পা থেকে।
এদিন ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের মাত্র ১৭ মিনিটে তিন গোল করেন নেইমার। যা সান্তোসকে অবনমনসীমা থেকে দুই পয়েন্ট ওপরে তুলে এনেছে। সামনে একটাই ম্যাচ, রোববার নিজেদের মাঠ ভিলা বেলমিরোতে ক্রুজেইরোর বিপক্ষে। জয় পেলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে প্রথম বিভাগের টিকে থাকা।
৫৬তম মিনিটে দারুণ এক কাউন্টার অ্যাটাক থেকে শান্ত মাথায় প্রথম গোলটি করেন নেইমার। দশ মিনিটও পেরোয়নি, ইগর ভিনিসিয়ুসের ক্রস থেকে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে আবারও জালে বল জড়ান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। আর চাপের মুহূর্তেও তিনি ছিলেন ঠাণ্ডা। পেনাল্টি স্পটে দাঁড়িয়ে নিখুঁত শটে পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক। এরপর ৮৩তম মিনিটে বদলি হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
এপ্রিল ২০২২ সালের পর এটি তার প্রথম হ্যাটট্রিক। আর এর সাহসিকতার মাত্রাই সেটিকে আলাদা করে তুলেছে। ম্যাচে খেলার কথাই ছিল না। ব্যথা থাকা সত্ত্বেও, বরং সেই ব্যথাকেই মাতিয়ে তুললেন দৃঢ়তায়।


Comments