দাদাই আমাকে আলজেরিয়ার হয়ে খেলতে উৎসাহিত করেছেন: লুকা জিদান

ফ্রান্সের বয়সভিত্তিক দলে খেলেছেন, কিন্তু আন্তর্জাতিক ফুটবলের বড় মঞ্চে বেছে নিয়েছেন বাবার পৈতৃক ভিটে আলজেরিয়াকে। ফরাসি কিংবদন্তি জিনেদিন জিদানের ছেলে লুকা জিদান জানালেন, এই দলবদলের পেছনে তার দাদার উৎসাহই ছিল প্রধান অনুপ্রেরণা।

ফ্রান্সকে ১৯৯৮ বিশ্বকাপ ও ইউরো ২০০০ জেতানো জিনেদিন জিদানের ছেলে হয়েও লুকা বেছে নিয়েছেন গোলকিপিং পজিশন, মূলত বাবার সঙ্গে প্রতিনিয়ত তুলনা এড়াতেই। ২৭ বছর বয়সে এসে আলজেরিয়ার জার্সি গায়ে তোলার সিদ্ধান্তটি অনেকের কাছে চমক মনে হলেও, লুকার কাছে এটি ছিল শেকড়ের টান।

বুধবার আফ্রিকান কাপ অফ নেশনসে (আফকন) সুদানের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ে আলজেরিয়ার পোস্টের নিচে অভিষেক হয় লুকার। গ্যালারিতে বসে ছেলের খেলা দেখেছেন খোদ জিনেদিন জিদান। ম্যাচে খুব বেশি পরীক্ষার মুখে না পড়লেও, ১-০ স্কোরের সময় ইয়াসির আওয়াদের একটি নিশ্চিত সুযোগ রুখে দিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।

ম্যাচ শেষে 'বিইন স্পোর্টস ফ্রান্স'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লুকা বলেন, 'আমি যখন আলজেরিয়ার কথা ভাবি, আমার দাদার কথা মনে পড়ে। ছোটবেলা থেকেই আমাদের পরিবারে আলজেরীয় সংস্কৃতির চর্চা ছিল।'

দাদার আবেগের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'জাতীয় দলের হয়ে খেলার আগে আমি দাদার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। এই পদক্ষেপে তিনি ভীষণ খুশি হয়েছিলেন। এখন প্রতিবার জাতীয় দলে ডাক পেলে তিনি আমাকে ফোন করেন এবং বলেন যে আমি দুর্দান্ত এক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি আমাকে নিয়ে গর্বিত।'

বাবার সমর্থনের কথাও জানিয়েছেন বর্তমানে স্প্যানিশ ক্লাব গ্রানাডায় খেলা এই গোলকিপার। লুকা বলেন, 'বাবা আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, "সতর্ক থেকো, এটা তোমার নিজের পছন্দ। আমি তোমাকে পরামর্শ দিতে পারি, কিন্তু দিন শেষে সিদ্ধান্তটা তোমাকেই নিতে হবে"।'

ক্লাব ফুটবলে জার্সির পেছনে 'লুকা' নাম ব্যবহার করলেও, জাতীয় দলে দাদার সম্মানার্থে 'জিদান' নামই ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। লুকা বলেন, 'ফেডারেশন যখন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে, তখনই আমি মনস্থির করে ফেলেছিলাম। দাদার সম্মানে জাতীয় দলে যোগ দেওয়া আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমার পরের জার্সিতে যে নামটা থাকবে, সেটা তার জন্যই।'

Comments