জয়ে শুরু জকোভিচের, ফিটনেস নিয়ে শঙ্কা

৩৮ বছর বয়সেও রেকর্ডের পিছু ছুটছেন নোভাক জকোভিচ। নেমেছেন ২৫তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম একক শিরোপার খোঁজে। তবে নিউইয়র্কে প্রথম ম্যাচ জয়ের পরও শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন সার্বিয়ান এই কিংবদন্তি।

রোববার নিউইয়র্কের আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ প্রতিভা লার্নার টিয়েনকে ৬–১, ৭–৬ (৭/৩), ৬–২ গেমে হারিয়ে ইউএস ওপেন মিশন শুরু করেছেন জকোভিচ। প্রায় আড়াই ঘণ্টার ম্যাচ শেষে জয় পেলেও দ্বিতীয় সেটে শক্তি হারিয়ে ফেলার অভিজ্ঞতা তাকে শঙ্কিত করেছে।

প্রথম সেট মাত্র ২০ মিনিটের মতো সময়ে ৬–১ গেমে জিতে দুরন্ত শুরু করেন জকোভিচ। কিন্তু দ্বিতীয় সেটে দীর্ঘ র‍্যালি ও কিছু অনিচ্ছাকৃত ভুলে ম্যাচে ফেরার সুযোগ পান ১৯ বছরের টিয়েন। সেটে একসময় ভেঙে পড়ার মতো অবস্থায় ছিলেন জকোভিচ, যদিও শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৭–৬ ব্যবধানে জয় তুলে নেন তিনি।

সেট শেষে ডান পায়ের ফোসকার চিকিৎসায় নেন মেডিকেল টাইমআউট। ওই বিশ্রামের পর নতুন উদ্যমে কোর্টে ফিরে তৃতীয় সেটে দ্রুত ৫–১ গেমে এগিয়ে যান। পরে টিয়েন এক গেম ফেরালেও শেষ পর্যন্ত ৬–২ গেমে সেট ও ম্যাচ শেষ করেন জকোভিচ।

ম্যাচ শেষে জকোভিচ বলেন, 'প্রথম সেটটা দুর্দান্ত ছিল, কিন্তু দ্বিতীয় সেটে আমি অবাক হয়ে দেখলাম কতটা খারাপ লাগছিল শারীরিকভাবে। দীর্ঘ র‍্যালিতে ঠিকমতো টিকে থাকতে পারিনি, পয়েন্ট শেষে শক্তি ফিরে পেতেও কষ্ট হচ্ছিল। যদিও কোনো ইনজুরি নেই, তবু এটা খানিকটা উদ্বেগের।'

তবু আশা ছড়ান অভিজ্ঞ এই তারকা। 'ইচ্ছে করে আমার যদি লার্নার টিয়েনের বয়স থাকত! ত্রিশের শেষভাগে এসে শিখতে হয় কীভাবে শক্তি বাঁচিয়ে রাখতে হয়। এখনো সেই তাগিদ, সেই উদ্যম আমার ভেতরে আছে। আপনাদের সমর্থন আমাকে শক্তি জোগায়। আশা করি এভাবেই এগিয়ে যাব।'

উইম্বলডনের সেমিফাইনালে হারের পর থেকে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে নামেননি জকোভিচ। টরন্টো ও সিনসিনাটির মাস্টার্স সিরিজ এড়িয়ে ইউএস ওপেনকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। প্রথম রাউন্ডে খানিকটা জড়তা থাকলেও ঝলক দেখিয়েছেন তার ঐতিহাসিক সাফল্যের স্বাক্ষর হিসেবে। দ্বিতীয় রাউন্ডে এখন তার প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের কোয়ালিফায়ার জ্যাকারি সাজদা।

Comments

The Daily Star  | English

BNP says ‘no’ to constitutional reforms under interim govt

The BNP has said it will not support any constitutional reforms before the national election in February 2026, arguing that such changes must be made by the next parliament.

4h ago