এবারও ফাইনাল হারলে রোহিত সম্ভবত সমুদ্রে ঝাঁপ দেবে: সৌরভ

ছবি: এএফপি

গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হতাশায় ডোবায় অস্ট্রেলিয়া। সেই ক্ষত ভুলে যাওয়ার সুযোগ রোহিত শর্মার দল পেয়ে যাচ্ছে মাস আটেক পেরুনোর আগেই। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে হেরে গেলে রোহিতের জন্য তা মেনে নেওয়া বড্ড কঠিনই হবে। এমনকি সৌরভ গাঙ্গুলির মনে হচ্ছে, আরেকবার হারলে ভারতের অধিনায়ক সম্ভবত সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে বসবেন!

শনিবার এবারের আসরের ফাইনালে বার্বাডোজে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে ভারত। তার আগে বার্তা সংস্থা পিটিআইকে ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ বলেছেন, 'আমার মনে হয় না সে সাত মাসের মধ্যে দুটি বিশ্বকাপ হেরে যেতে পারে। তার অধিনায়কত্বে যদি দুটি বিশ্বকাপ হেরে যায় ভারত, সে সম্ভবত বার্বাডোজের সমুদ্রে ঝাঁপ দিবে।'

আহমেদাবাদে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে ভারত হেরেছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে। একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ওই বছরের জুনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপও খোয়ায় দলটি। দুটি বৈশ্বিক আসরের ফাইনালে যাওয়ার আগে রোহিতের নেতৃত্বে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আটকে গিয়েছিল ভারত। এবার অবশ্য অপরাজিত থেকেই তারা পা রেখেছে কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপের নবম আসরের ফাইনালে।

ছবি: এএফপি

১৮ হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক রানের মালিক সৌরভ যখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি ছিলেন, তখন রোহিতের পূর্ণকালীন অধিনায়কত্বের এই অধ্যায় শুরু হয়েছিল। বর্তমানে তার সাফল্য দেখে ভারতকে ২০০৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে নিয়ে যাওয়া সৌরভ বলেছেন, 'সে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে, দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। আশা করি, আগামীকাল (শনিবার) সে তা-ই করবে, ভারত জিতবে। আর তাদের স্বাধীনতা নিয়ে খেলা উচিত।'

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তৃতীয়বারের মতো ফাইনাল খেলতে কেনসিংটন ওভালে নামবে ভারত। ২০০৭ সালে অনুষ্ঠিত এই সংস্করণের প্রথম আসরে তারা হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন। তবে ২০১৪ সালে রানার্সআপ হয়েই তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। সবমিলিয়ে গত ১০ বছরে পাঁচটি আইসিসি প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠে শিরোপা জিততে পারেনি ভারত।

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শিরোপার জন্য ভাগ্যের দিকেও চেয়ে আছেন সৌরভ। প্রিন্স অব কলকাতা খ্যাত সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার বলেছেন, 'তারা (ভারত) এবারের টুর্নামেন্টের সেরা দল। আশা করি, তারা জিতবে। তাদের দিকে ভাগ্য কিছুটা সহায় হবে বলেও আশা করছি। কারণ, বড় টুর্নামেন্ট জিততে হলে সেটির প্রয়োজন পড়ে।'

Comments

The Daily Star  | English

The war after the war: Pakistan’s POWs and postal propaganda

Postal evidence supports the view that a propaganda campaign was underway as soon as the army surrendered.

23h ago