এশিয়া কাপ ২০২৫

‘টাইগার কারা’, শাহীনের জিজ্ঞাসা 

Shaheen Afridi

এক সাংবাদিক বাংলাদেশ প্রসঙ্গে 'টাইগার' শব্দ প্রয়োগ করে শাহীন আফ্রিদিকে প্রশ্ন করছিলেন, মাঝপথে তাকে থামিয়ে পাকিস্তানি পেসার জিজ্ঞেস করেন, 'টাইগার কারা?' প্রশ্নকর্তা তাকে এটা বাংলাদেশ মনে করিয়ে দিতেই বাকি প্রশ্ন মন দিয়ে শুনে উত্তর দেন তিনি। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ভার্চুয়াল সেমিফাইনালের আগে মনস্তাত্ত্বিক লড়াইও যে আছে শাহীনের ভাবভঙ্গিতে মিলল সেই আঁচ।

একটু ৭ বছর আগে ফিরে যাওয়া যাক। পরিস্থিতি তখন গড়পড়তা একই রকম ছিলো। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিণত হয়েছিলো ভার্চুয়াল সেমিফাইনালে। তবে বাংলাদেশ নয়, পাকিস্তান ফাইনালে যাবে ধরে নিয়ে তৈরি ছিলো গোটা আবহ। গ্রুপ পর্বে ভারতের কাছে দুই হারের শোধ পাকিস্তান ফাইনালে নিতে পারবে কিনা এই আলাপ দুই দেশের গণমাধ্যমই তুলে আনছে।

বাংলাদেশ ম্যাচ সামনে রেখে পাকিস্তানের পেসার শাহীন অবশ্য সেদিকে পুরোপুরি হাঁটেননি। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে নিজেদের আশা বাঁচিয়ে রাখার পর তিনি যখন কথা বলেন তখনো বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ হয়নি।

কারো ফাইনাল নিশ্চিত না হওয়ায় সেই আলাপে সায় ছিলো না তার। পরে ফেরেন বাংলাদেশ প্রসঙ্গে। জানান বাংলাদেশ ভালো দল হলেও আক্রমণ করে খেলবেন তারা, 'বাংলাদেশ ভালো দল।  তারা সাম্প্রতিক সময়ে বেশ ভালো ক্রিকেট খেলছে। যখনই আপনি এমন দলের বিপক্ষে খেলবেন, আপনাকে প্রথমে আক্রমণ করতে হবে, তাই আমাদের তাদের সুযোগ দেওয়া উচিত নয়। আমাদের তিনটি বিভাগেই ভালো খেলতে হবে: ফিল্ডিং, বোলিং এবং ব্যাটিং। আমাদের সমস্ত মনোযোগ এখন বাংলাদেশ ম্যাচের দিকে।'

টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি লড়াইয়ে পাকিস্তান ঢের এগিয়ে। ২৫ ম্যাচ খেলে তাদের সঙ্গে পাঁচটি জিততে পেরেছে বাংলাদেশ। সেই পাঁচ জয়ের তিনটা এসেছে গত দুই বছরে। দুই বছরের হিসেব করলে দুই দলের পাল্লা সমানে-সমান। পাকিস্তান জিতেছে চারটি, বাংলাদেশের জয় তিন।

গত জুলাইয়ে ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে সিরিজে হারানো সুখস্মৃতি আছে লিটনদের। তার আগে মে মাসে পাকিস্তান সফরে গিয়ে অবশ্য হারতে হয়েছে সব ম্যাচ। মে মাসে লাহোরে খেলা হয়েছিলো ব্যাটিং স্বর্গে, সেখানে পেরে উঠেনি টাইগাররা।  জুলাইতে মন্থর উইকেটে পাকিস্তানিদের সহজেই ধরাশায়ী করা গেছে।

লাহোর ও মিরপুরের মাঝামাঝি এক ধরণের উইকেট থাকবে দুবাইতে। যেখানে বোলারদের জন্য রসদ আছে যথেষ্ট, আবার শুরুর দিকে ব্যাটাররা বড় শটের জন্য পান ভালো বাউন্স। কন্ডিশনের ম্যাচ-আপ বাংলাদেশকে বেশ শক্তভাবেই রেখেছে বলা যায়।

এই টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় ছাড়া পাকিস্তানকে তাদের গৌরবময় ঐতিহ্যের কাছাকাছি দেখা যায়নি। অপরদিকে গ্রুপ পর্বে নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে না পারলেও শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালের দৌড়ে থাকা বাংলাদেশকে বেশ ভালো আদলে দেখা যাচ্ছে। ভারতের কাছে বড় ব্যবধানে হারলেও ফাইনালে যেতে পাকিস্তানকে হারালেই চলবে লিটনদের।

শক্তির বিচারে দুই দলকে সমানে-সমান রাখা যায়। টুর্নামেন্টের ছন্দের হিসেবেও কাছাকাছি।

পাকিস্তানকে টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে যারা বাতিলের খাতায় ফেলে দিচ্ছিলেন, তাদের ভাবনায় কিছুটা বদল আনতে হচ্ছে। সুপার ফোরে এসে মনে হচ্ছে নিজেদের কিছুটা খুঁজে পেতে শুরু করেছেন সালমান আলি আঘারা।

Comments

The Daily Star  | English
The Costs Of Autonomy Loss of Central Bank

Bangladesh Bank’s lost autonomy has a hefty price

Economists blame rising bad debt, soaring prices and illicit fund flows on central bank’s waning independence

13h ago