‘কোনো ম্যাজিক নেই, সব আল্লাহর রহমত’

Mashrafe Mortaza
আরও একবার ফাইনালে পৌঁছে যাওয়ার আনন্দ মাশরাফির। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বিপিএলে সিলেটের ফ্র্যাঞ্চাইজি আগে যা করতে পারেনি, এবার মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে তা করে দেখাল সিলেট স্ট্রাইকার্স। গড়পড়তা দল নিয়ে স্ট্রাইকার্সের ফাইনালে পৌঁছে যাওয়া অনেকটা চমকের মতো। এই সাফল্যে আবারও আলোচনায় অধিনায়ক মাশরাফি। তবে এতে নিজের কোন ম্যাজিক দেখেন না ঘরোয়া এই আসরের সফলতম অধিনায়ক।

মাশরাফি ম্যাজিকের প্রসঙ্গটি এসেছে মূলত বিপিএলের তার নেতৃত্বের পরিসংখ্যানের কারণে। বিপিএলে প্রথম তিন আসরেই চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। প্রথম দুটি ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে, তৃতীয়টি জেতান তখনকার গড়পড়তা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে নিয়ে।

পঞ্চম আসরে রংপুর রাইডার্সকে শিরোপা এনে দেন মাশরাফি। সবচেয়ে বেশি চারটি ট্রফি তার। ফাইনাল হারেননি একবারও।  এবার নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি সিলেট স্ট্রাইকার্সকে নিয়ে পা রাখলেন আরেকটি শিরোপা মঞ্চে। মঙ্গলবার রাতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তার দল জিতল অনেকটা নাটকীয়ভাবে।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, আরেকটি ফাইনালে নামতে হবে আগের কোন কিছু মাথায় না রেখেই,  'কোনো ম্যাজিক নেই, সব আল্লাহর রহমত। হারিনি বলে যে হারব না, তা নয়। আবার হেরে যাওয়ার জন্যও নামব না। আগে যা হয়েছে, তা স্মরণ করে লাভ নাই। পরশু আমাদের একটা ফাইনাল আছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।"

১৮২ রান টপকাতে গিয়ে একটা সময় বেশ ভালো জায়গায় ছিল রংপুর। ৩ উইকেটে তাদের রান ছিল ১৫০। শেষ ১৮ বলে ম্যাচ জিততে দরকার ছিল ৩৩ রান। এরপর অসুস্থ হয়ে শুরুতে না থাকা মুশফিকুর রহিমের মাঠে প্রবেশ, কিপার বদলানো নিয়ে সময় নষ্ট করে সিলেট। খেলা শুরুর পর তালগোল পাকিয়ে ধসে পড়ে রংপুর।

বৃহস্পতিবার ফাইনালে মাশরাফিদের প্রতিপক্ষ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দলটি এবারও শিরোপা জেতার সবচেয়ে জোরালো দাবিদার। প্রথম তিন ম্যাচ হেরে এবার আসর শুরুর পর তারা টানা দশ জয়ে পৌঁছে যায় ফাইনালে। সেরা ছন্দের লিটন দাসের সঙ্গে মঈন আলি, সুনিল নারাইন, আন্দ্রে রাসেলদের মতো বিদেশি আছে তাদের দলে।

মাশরাফি তার এক সময়ের দলটিকে নির্দ্বিধায় অনেকখানি এগিয়ে রাখলেন, তবে নিজেদের জেতার আশাটাও জারি রাখলেন ভালোভাবেই,  'যদিও কুমিল্লা দল অনেক অনেক ভালো, এই টুর্নামেন্টের যে কোনো দল থেকে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তাদের সঙ্গে আমরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে পারব না। আমরা পুরো টুর্নামেন্টে যে স্বাভাবিক খেলা খেলে এসেছি, নিজেদের দিকে যদি মনোযোগ ঠিক রাখতে পারি, গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোয় যদি অবদান ঠিকমতো রাখতে পারি, তাহলে কেন নয়?' তবে সুনির্দিষ্ট করে আমার ম্যাজিক বলে কিছু নেই। ভালো খেলছে ছেলেরা। আশা করি, আরেকটা ম্যাচ ভালো খেলবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Ducsu election sees spontaneous turnout of voters

Ducsu election is being held at eight centres of the campus with nearly 40,000 registered voters and 471 candidates vying for 28 central posts.

1h ago