ফাহিমের তোপ ও লিটনের ঝড়ে চট্টগ্রামকে উড়িয়ে শুরু রংপুরের
এবারের বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখাল শক্তিশালী রংপুর রাইডার্স। সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম রয়্যালসকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে দাপুটে জয় তুলে নিল তারা।
রংপুরের মূল নায়ক পাকিস্তানের পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ। বল হাতে মাত্র ৩.৫ ওভারে ১৭ রান দিয়ে তিনি শিকার করেন ৫ উইকেট। তার তোপে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম ১৩ বল বাকি থাকতে মাত্র ১০২ রানেই গুটিয়ে যায়।
একদম সহজ লক্ষ্য তাড়ায় ঝড়ো ইনিংস উপহার দেন ওপেনার লিটন দাস। তিনি জ্বলে উঠে ৩১ বলে করেন ৪৭ রান। তার ব্যাট থেকে আসে চারটি চার ও দুটি ছক্কা। এতে ৩০ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় রংপুর।
চট্টগ্রামের শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। প্রথম ওভারেই অ্যাডাম রসিংটনকে ফেরান নাহিদ রানা। তবে আরেক ওপেনার নাইম শেখ পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে নাহিদের পরের ওভার থেকে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ২১ রান তুলে নেন।
এরপরই দৃশ্যপটে আসেন মোস্তাফিজুর রহমান। আইএল টি-টোয়েন্টি খেলে বিপিএলে ফেরা এই বাঁহাতি পেসার তার প্রথম ও ইনিংসের পঞ্চম ওভারে কাটারের জাদুতে নাইমকে বোল্ড করেন। ২০ বলে সাতটি চার ও একটি ছয়ে ঝড়ো ৩৯ রান করে বিদায় নেন নাইম। তখন থেকে শুরু হয় চট্টগ্রামের পথ হারানো।
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর তেতে ওঠেন ফাহিম। মাহফিজুল ইসলামকে টিকতে দেননি তিনি। ইনিংসের ১১তম ওভারে আরও দুটি শিকার ধরেন তিনি, যার মধ্যে ছিল প্রতিপক্ষ অধিনায়ক শেখ মেহেদী হাসানের (২ বলে ১ রান) গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি। আর ১৮তম ওভারে শরিফুল ইসলামকে আউট করে নিজের ৫ উইকেট পূর্ণ করার পাশাপাশি চট্টগ্রামের ব্যাটিংয়ের ইতি টানেন ফাহিম।
মোস্তাফিজ ২ উইকেট নেন ১৯ রান খরচায়। খরুচে রানার (৩ ওভারে ৩৩ রান) পাশাপাশি একটি করে শিকার ধরেন আলিস আল ইসলাম ও সুফিয়ান মুকিম।
জবাব দিতে নেমে দুই ওপেনার ডাভিড মালান ও লিটনের কল্যাণে ৭৩ বলে ৯১ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় রংপুর। এমন শক্ত ভিতের কারণে পরবর্তীতে দ্রুত ৩ উইকেট হারালেও জিততে কোনো বেগ পেতে হয়নি তাদের। ইংল্যান্ডের ব্যাটার মালান খেলেন ৪৮ বলে ৫১ রানের নিয়ন্ত্রিত ইনিংস।
শুরু থেকেই সাবলীল ছিলেন লিটন। মাহমুদুল হাসান জয়ের করা নবম ওভারে তিনটি ছক্কা ও একটি চারে ২৪ রান তুলে পথ সহজ করে দেন তিনি। তবে ফিফটির কাছাকাছি গিয়ে মুকিদুল ইসলামের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
এরপর তাওহিদ হৃদয়কেও দ্রুত বিদায় করেন মুকিদুল। লক্ষ্য যখন হাতের নাগালে, তখন জয়ের বলে থামতে হয় মালানকে। ওই ওভারেরই শেষ বলে ছক্কা মেরে রংপুরের অনায়াস জয় নিশ্চিত করেন খুশদিল শাহ।


Comments