তুমুল লড়াইয়ে ডেনমার্ককে রুখে দিল তিউনিসিয়া

দুই দলই খেলল আগ্রাসী ও গতিময় ফুটবল। আক্রমণ- প্রতি আক্রমণে জমে উঠল ম্যাচ। গোলের একাধিক সুযোগ পেয়েও দুই দলই অল্পের জন্য বঞ্চিত হলো জালের দেখা পাওয়া থেকে। দারুণ উপভোগ্য ম্যাচে এলো না কোন গোল। র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা ইউরোপের দল ডেনমার্ককে রুখে দিয়ে উদযাপনের সুযোগ পেল আফ্রিকার প্রতিনিধি তিউনিসিয়া।

মঙ্গলবার কাতারের আল রাইয়ান স্টেডিয়ামে 'ডি' গ্রুপের ম্যাচে ডেনমার্ক-তিউনিসিয়া গোলশূন্য ড্র করেছে। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ১০ নম্বরে থাকা ডেনিশদের আটকে দিয়ে আফ্রিকার দলটি তুলে নেয় মূল্যবান পয়েন্ট।

পুরো ম্যাচে ৬১ শতাংশ বল দখলে রেখে ৮টি শটের ৫টি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল ডেনিশরা। তিউনিসিয়া ৬ শটের একটি রাখতে পারে লক্ষ্যে। 

খেলা শুরুর থেকেই দুই দলকেই দেখা যায় চাঙ্গা।  গতিময় ফুটবলে দুই দলই চালাতে থাকে আক্রমণ। কিন্তু তেমন সুযোগ আসছিল না। ১১ মিনিটে  প্রথম বড় সুযোগ পায় তিউনিসিয়া। বক্সের বাইরে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন মোহাম্মাদ দ্রেগার। তার নেওয়া শট প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট।

পরের কয়েকমিনিট তুমুল চাপ জারি রাখে ডেনমার্ক। তেতে থাকা তিউনিসিয়ার ডিফেন্সে তাদের আক্রমণগুলো হয় বাধাগ্রস্ত।

রক্ষণে সামলে নিয়ে বারবারই প্রতি আক্রমণে ভীতি ছড়ায় তিউনিসিয়া। ৩৮ মিনিটে কর্নার থেকে পাওয়া বল কোনাকোনি শট নিয়েছিলেন আইসা লাইডৌনি। অল্পের জন্য তা যায় বারের উপর দিয়ে। ৪৩ মিনিটে গোল পেয়েই যেতে পারত তিউনিসিয়া। বক্সের ভেতরে ঢুকে ইসাম জেবালীর শট দুর্দান্ত দক্ষতায় কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান কেসপার স্মাইকেল।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সুযোগ আসে ডেনিশদের। ক্রিস্তিয়ান এরিকসনের নেওয়া সেট পিস যাচ্ছিল গোলের দিকে। তিউনিসিয়ার ডিফেন্ডার আলি আব্দি কর্নারের বিনিময়ে দলকে রক্ষা করেন।

বিরতির পর নেমেই সুযোগ তৈরি করে তিউনিসিয়া। দ্রেগারের ক্রস থেকে জেবালি পাওয়ার আগে ডেনমার্কের ডিফেন্ডার তা বাইরে পাঠান।

৫১ মিনিটে আসে সুর্বণ সুযোগ পায় উত্তর আফ্রিকার দেশটি। প্রতি আক্রমণ থেকে বল নিয়ে তীব্র গতিতে ছুটে যান  লাইডৌনি। তার সামনে ছিলেন কেবল গোলরক্ষক, কিন্তু শেষ মুহুর্তে তালগোল পাকিয়ে পড়ে যান তিনি। ৫৬ মিনিট সুযোগ আসে ডেনমার্কের। ডিফেন্স কাঁপানো আক্রমণ থেকে বল জালেও জড়িয়ে দিয়েছিলেন মিক্কেল দামসগার্ড। কিন্তু অফসাইডের কারণে বিফল হতে হয় তাদের। পরের মিনিটেই .ক্যাসপার ডলবার্গের বা দিক থেকে মারা শট যায় বার ঘেঁষে।

৬৯ মিনিটে এরিকসনকে গোল বঞ্চিত করেন তিউনিসিয়ার গোলরক্ষক আয়মেন ডাহমেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকার নেওয়া শট বা দিকে ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন তিনি। সেই কর্নার থেকে গোল পেতে পারতেন আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেন। তার নেওয়া হেড বারে লেগে গিরে আসে। প্রতি আক্রমণ থেকে আবার সুযোগ তৈরির কাছে যায় তিউনিসিয়া।

যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ডেনমার্ককে আবার হতাশ করেন তিউনিসিয়ার কিপার। জেসপের লিন্ডস্ট্রমের মারা দূরপাল্লার শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত গোল না করার হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ে গত ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালিস্টরা। অপরদিকে এগিয়ে থাকা প্রতিপক্ষের কাছ থেকে ১ পয়েন্ট নিয়ে সমর্থকদের সঙ্গে উদযাপন করে তিউনিসিয়া।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

3h ago