পিএসসিকে আরও ৬ দিনের আল্টিমেটাম নন-ক্যাডার চাকরিপ্রার্থীদের

ঢাবি টিএসসিতে নন-ক্যাডার চাকরিপ্রার্থীদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) নন-ক্যাডার পদে নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে বিসিএসে উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা।

এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবি আদায়ে পিএসসিকে এর আগে ৫ দিনের সময় বেধে দিয়েছিল তারা। ওই সময় শেষে আরও ৬ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে চাকরিপ্রার্থীরা।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এক সংবাদ সম্মেলনে তারা নতুন আল্টিমেটামের কথা জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, 'আমরা ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডার অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা ৮ হাজার ১৬৬ জন প্রার্থী হতাশায় আছি। আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য  পিএসসিকে ৫ কর্মদিবসের আল্টিমেটাম দেই যার শেষ দিন ছিল গত ২৩ অক্টোবর।'

'আমাদের এই যৌক্তিক দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে দেশের ৮ বিভাগের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের চাকরিপ্রার্থীরা গত ২০ অক্টোবর। তবুও আমরা পিএসসির পক্ষ থেকে আমাদের ৬ দফা দাবির বিষয়ে এখনো কোনো সদুত্তর পাইনি,' সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।

চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, 'এমতাবস্থায় আমরা আমাদের আল্টিমেটাম আরও ৬ দিন অর্থাৎ ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত বর্ধিত করলাম। এরপরও পিএসসি যদি আমাদের দাবি মেনে না নেয় তবে আমরা আমাদের এই চূড়ান্ত আল্টিমেটাম শেষে লাগাতার কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব এবং এই কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার কারণে যদি কোনো অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তার সম্পূর্ণ দায়ভার পিএসসির।'

তারা আরও বলেন, 'আপনারা ইতোমধ্যে অবগত আছেন যে পিএসসি বিসিএস নন-ক্যাডার পদের তারিখওয়ারি বিভাজনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটার বিপক্ষে বিগত ৬ অক্টোবর ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডার এবং ৪১-৪৪ বিসিএস চাকরিপ্রার্থীরা পিএসসির সামনে একটি মানববন্ধন করেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ অক্টোবর আমরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে একটা প্রতিবাদ সমাবেশ এবং মানববন্ধন সম্পন্ন করি।'

ওই সমাবেশে ৬ দফা উপস্থাপন করা হয় বলে জানান তারা।

চাকরিপ্রার্থীরা জানান, বিসিএস উত্তীর্ণ অপেক্ষমাণ তালিকার প্রার্থীদের পিএসসি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তরের নন-ক্যাডার শূন্য পদে নিয়োগের সুপারিশ করে। ২৮তম বিসিএস থেকে ৩৮তম বিসিএস পর্যন্ত এই নিয়মেই পিএসসি নন-ক্যাডার পদে সুপারিশ করেছিল।

কিন্তু, সম্প্রতি পিএসসি এই নিয়মে পরিবর্তন এনেছে। এখন থেকে নন-ক্যাডার নিয়োগ সুপারিশ করা হবে বিসিএসের বিজ্ঞপ্তির তারিখ অনুযায়ী। অর্থাৎ কোনো বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত নিয়োগযোগ্য নন-ক্যাডার শূন্য পদের সংখ্যা উল্লেখ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পিএসসিতে পাঠানো হবে এবং পিএসসি ওই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে নন-ক্যাডার শূন্য পদগুলো উল্লেখ করে পরে উত্তীর্ণ নন-ক্যাডারদের সুপারিশ করবে।

এ অবস্থায় ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অপেক্ষমাণ নন-ক্যাডাররা কমিশনের ৪০তম বিসিএস বিজ্ঞপ্তির তারিখ অনুযায়ী সুপারিশের এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানায়।

Comments

The Daily Star  | English
Yunus, Charter, and Our Future

Yunus, Charter, and Our Future

Can the vision for 'New Bangladesh' ignore the poor, farmers, workers, youth, women, or employment and climate crises?

1h ago