নারীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়তে ব্যর্থ জাবি প্রশাসন, বহিরাগত প্রবেশ বন্ধের সুপারিশ

ইউজিসি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ পর্যন্ত যৌন হয়রানির অনেক ঘটনা ঘটলেও নারীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়তে কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো আশানুরূপ পদক্ষেপ নেয়নি বা গৃহীত পদক্ষেপগুলো কোনো সফলতা নিয়ে আসেনি বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গৃহীত পদক্ষেপ পর্যালোচনা করতে তিন সদস্যের ওই কমিটি গঠন করে ইউজিসি। 

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময়ে নিয়মবহির্ভুতভাবে হলে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার জন্য নোটিশ দিলেও তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে সফল হয়নি। তাই বিষয়টির কার্যকারিতা শুধু নোটিশের মাঝেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে বিভিন্ন হলে ডেটাবেজ তৈরি করছে।

তদন্ত কমিটি সুপারিশ করেছে যে, জাবি ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য শিক্ষার্থীদের অবশ্যই হলের নিয়ম- কানুন মেনে চলতে বাধ্য করতে হবে। নিয়মিতভাবে শিক্ষা জীবন সম্পন্ন করা (স্নাতক/স্নাতকোত্তর) শিক্ষার্থীদের হলের সিট অবশ্যই বাতিল করে হলে অবস্থান নিষিদ্ধ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী ছাড়া বহিরাগত কেউই হলের কক্ষে প্রবেশ এবং হলে অবস্থান কার্যকরভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।

ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত আলো ও সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা উচিৎ এবং প্রতিটি স্থান নজরদারীর আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন বলেও সুপারিশে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জাবি ক্যাম্পাসকে বহিরাগত ও পাশ্ববর্তী গ্রামের লোকজন ব্যবহার করে। জাবি ক্যাম্পাসে প্রায়ই গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সংগঠনের অনুষ্ঠান হয়। এগুলো নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য দিয়ে বহিরাগতদের প্রবেশের যে তিনটি রাস্তা রয়েছে তা বন্ধ করে বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করতে পারে বলে সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

এ কমিটিতে ছিলেন- ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান, উপপরিচালক মৌলি আজাদ এবং সহকারী পরিচালক মো. সেহজাদ রিফাত সিয়াম।

Comments

The Daily Star  | English

Water lily tug-of-war continues

The Election Commission and National Citizen Party remain locked in a heated debate over the party’s choice of electoral symbol, the water lily -- a dispute that began in June..Despite several exchanges of letters and multiple meetings between NCP and the chief election commissioner, other

2h ago