চবি ক্যাম্পাসে ফিরতে চারুকলা শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি 

চবি চারুকলা ক্যাম্পাস আন্দোলন
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মুল ক্যাম্পাসে প্রত্যাবর্তনে দেরি হওয়ায় আবারও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এক দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা 'দাবি মোদের একটাই, চারুকলা ক্যাম্পাসে চাই', 'শিক্ষকদের টালবাহানা, মানি না মানব না', 'চারুকলার সিন্ডিকেট, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও', 'চবিয়ানদের ডিসিশন, চারুকলা ক্যাম্পাসে চাই' ইত্যাদি স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এপ্রিলের আগেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের ঘোষণা দিলেও এখনো বাস্তবায়ন করতে পারেনি।

চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাহিম আহমেদ বলেন, 'আমরা দীর্ঘদিন ধরে চারুকলা ক্যাম্পাসে নিয়ে আসার আন্দোলন করছি। এর মাঝে অনেক প্রশাসন পরিবর্তন হলেও তারা শুধু আশ্বাসই দিয়ে গেছে, কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এখানে মূলত চারুকলা ইনস্টিটিউটের যে আওয়ামী শিক্ষকরা আছেন তারা আমাদের ক্যাম্পাসে ফিরতে বাধা দিচ্ছেন।'

চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান ইয়ামিন বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের প্রতি খুবই আন্তরিক। তারা চায় চারুকলা ক্যাম্পাসে ফিরে আসুক। কিন্তু আমাদের ইনস্টিটিউটের কিছু আওয়ামী শিক্ষক এখানে বাধা দিচ্ছেন। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে চারুকলা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রত্যাবর্তন চাই।'

একই শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী নুরজাহান আলম বৃষ্টি বলেন, 'আমাদের পর্যাপ্ত ক্লাস রুম না থাকায় মাঝেমধ্যে বাইরে ক্লাস করি। প্রশাসন চাই আমরা ক্যাম্পাসে ক্লাস করি। কিন্তু আমাদের টিচারদের মধ্যে কোনো আন্তরিকতা নেই, তারা কখনোই আমাদের সঙ্গে সহমত পোষণ করে না। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, যেগুলো আমরা শহরে থেকে পাই না। আমাদের এক দফা এক দাবি চারুকলা ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনতে হবে।'

এ বিষয়ে জানতে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর চারুকলার শিক্ষার্থীরা ২২ দাবিতে ক্লাস পরীক্ষার বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। টানা ৮২ দিন আন্দোলনের পর ২০২৪ সালের ২৩ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরলেও সাত দিনের আল্টিমেটাম শেষে ৩১ জানুয়ারি ফের আন্দোলনের নামেন। এরই মাঝে ২ ফেব্রুয়ারি চারুকলা ইনস্টিটিউট বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই বছরের ১০ ডিসেম্বর ফের আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের একপর্যায়ে ১২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চারুকলা ইনস্টিটিউটকে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের ঘোষণা দেয়।

Comments

The Daily Star  | English

Shibir-backed candidates Shadik, Farhad leading in top two Ducsu posts

Counting going on till 6:00am; turnout 78% in polls marked by festivities

4h ago