কুয়েটে উপাচার্য নিয়োগ-ক্লাস চালুর দাবিতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অভিভাবকদের স্মারকলিপি

টানা পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ আছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে সাত হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন। তাই শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে বিপর্যয় নিরসনে দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পুনরায় চালুর দাবিতে শিক্ষা উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে কুয়েট গার্ডিয়ান ফোরাম।

গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে তারা এই স্মারকলিপি দেন।

স্মারকলিপিতে গার্ডিয়ান ফোরাম উল্লেখ করেন, দেশের অন্যতম স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুয়েট দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে (ফেব্রুয়ারির ১৮ তারিখ থেকে) একাডেমিক ও প্রশাসনিকভাবে অচল অবস্থায় রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের জীবনকে চরম অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

'আমরা অভিভাবকরা চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। এমনিতেই প্রতি বছর আমাদের দেশে অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষা ও পারিবারিক চাপে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। করোনাকালে দীর্ঘ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ক্ষতি এখনও কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও আমাদের সন্তানরা ঘরে বসে দুর্বিষহ অবস্থায় দিন পার করছে।'

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালে যেসব শিক্ষার্থী কুয়েট ব্যতীত অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন, তারা ইতোমধ্যে স্নাতক সম্পন্ন করে কেউ উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে গেছেন, কেউ পিএইচডি করছেন কিংবা কেউ চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। অথচ কুয়েটের শিক্ষার্থীরা পাঁচ মাস পিছিয়ে পড়ায় চাকরি বাজারে প্রবেশে পিছিয়ে পড়ছে, যা তাদের ভবিষ্যতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

তারা আরও বলেন, আমাদের সন্তানদের শিক্ষা কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে সেশনজট আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, গবেষণা কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে এবং প্রকৌশল শিক্ষার মান অবনতির দিকে যাচ্ছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও কুয়েটের ভাবমূর্তি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

এই প্রেক্ষাপটে গার্ডিয়ান ফোরাম শিক্ষা উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে কুয়েটকে বাঁচাতে হলে অবিলম্বে উপাচার্য নিয়োগসহ অন্যান্য সমস্যার দ্রুত সমাধান করে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পুনরায় সচল করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ও অভিভাবকদের মানসিক শান্তির কথা বিবেচনায় নিয়ে আমরা বিনীতভাবে আপনাদের কাছে কার্যকর উদ্যোগ কামনা করছি।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

6h ago