চবির প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগের দাবিতে অনশনে ৯ শিক্ষার্থী

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ সাত দফা দাবিতে অনশনে বসেছেন নয় শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের 'অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীর' ব্যানারে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।
আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনের অনশন কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আমরা অনশনে বসেছি, কারণ অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আশা করেছিলাম। কিন্তু পেয়েছি এমন এক প্রশাসন, যারা প্রশাসনিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতেও ব্যর্থ হয়েছে। ফলে আমাদের সংকট এখনো চলমান।
তারা আরও অভিযোগ করেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সময় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের হুমকি দেয়, তাদের আইডি ও ছবি সংগ্রহ করে। নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে প্রশাসন এখন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদেরই অপরাধী হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছে।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর সমুদ্র বলেন, 'আমাদের দাবিগুলো নানা উপায়ে প্রশাসনের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কিন্তু শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে প্রশাসন কোনো কর্ণপাত করেনি। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, তারা নিজেদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করতে চাইছে না। আমরা চাই, এই প্রক্টরিয়াল বডি অবিলম্বে পদত্যাগ করুক।'
বিপ্লবী ছাত্র ও যুব আন্দোলন চবি শাখার সংগঠক ঈশা দে বলেন, 'আমরা গত চার দিন ধরে টানা সাত দফা দাবির পক্ষে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। প্রশাসনকে দুই দিনের সময় দিয়েছি, এমনকি তাদের হাতে এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর গণস্বাক্ষরযুক্ত সাত দফা দাবির স্মারকলিপিও তুলে দিয়েছি। কিন্তু প্রশাসন বলেছে, চাকসু নির্বাচনের পর এ বিষয়ে ভাববে।'
তিনি আরও বলেন, 'সংঘর্ষের ঘটনায় শত শত শিক্ষার্থী আহত হয়েছে, আবারও এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না এর কোনো নিশ্চয়তা প্রশাসন দিতে পারছে না। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয়ে যাব।'
জানতে চাইলে সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. কোরবান আলী বলেন, 'আমরা জানতে পেরেছি, শিক্ষার্থীরা অনশন করছে। এটা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে কিছুক্ষণের মধ্যে তাদের সাথে আলোচনা করব। এরপরে আসলে কি করা যায় সেই সিদ্ধান্ত নেব।'
এর আগে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ সাত দফা দাবিতে টানা ৪ দিন শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ, মশাল মিছিল ও প্রক্টর অফিসে প্রতীকী রং ছোড়ার কর্মসূচি পালন করেন। পরবর্তীতে উপাচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপি দেন। এতে কোনো সাড়া না পেয়ে শিক্ষার্থীরা অনশন কর্মসূচির ডাক দেন।
Comments