শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক এস্টাবলিশমেন্ট নিশ্চিতে কাজ করব: মোস্তাকুর রহমান

জয়ী হলে শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক এস্টাবলিশমেন্ট নিশ্চিতে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে শিবির সমর্থিত প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ।
দ্য ডেইলি স্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে 'সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট' প্যানেলের এই ভিপি প্রার্থী বলেন, প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া সত্ত্বেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। বিগত আওয়ামী প্রশাসন সমস্যা সমাধানে জোরদার ভূমিকা রাখতে পারেনি। সমস্যা সমাধানের চেয়ে নিজেদের আখের গোছানোয় বেশি ব্যস্ত ছিল তারা। শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে, তাদের সমস্যা সমাধানের জন্যই আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি।
জয়ী হলে কী করবেন, জানতে চাইলে মোস্তাকুর রহমান বলেন, রাবির বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই নিম্ন বা মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছেন। তাই জয়ী হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক এস্টাবলিশমেন্ট নিশ্চিতে কাজ করব। টিউশনি, প্রণোদনা ও আবাসিকীকরণসহ নানা উপায়ে যাতে শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক এস্টাবলিশমেন্ট নিশ্চিত করা যায়, সে লক্ষ্যেই কাজ করব।
'একইসঙ্গে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য বুলিং ও ট্যাগিং-মুক্তি নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তুলব। পাশাপাশি খাবার, পরিবহনসহ আরও যেসব সংকট আছে, সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করব। এক বছরে হয়তো সব সমস্যার সমাধান করতে পারব না। কিন্তু ঠিক কত বছরে করা যাবে, সেই রোডম্যাপটা আমরা প্রশাসনকে দিয়ে পাস করিয়ে নেবো।'
রাকসু নিয়মিত রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, কোনো দল ক্ষমতায় এলে তার ছাত্র সংগঠন চায় রাকসু বন্ধ রাখতে। কিন্তু আমরা চাই এটা নিয়মিত হোক। এটা শিক্ষার্থীদের অধিকার। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখান থেকে শিক্ষার্থীদের সমস্যা দূরীকরণের উদ্যোগ নেওয়া যায়। আমরা জয়ী হলে রাকসু নিয়মিত করতে ভূমিকা রাখব।
নিজেদের প্যানেলের ব্যাপারে মোস্তাকুর রহমান বলেন, আমাদের প্যানেল ইনক্লুসিভ। যেই পদে যে যোগ্য, তাকে আমরা সেখানে দিয়েছি। আমাদের প্যানেলে জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়ক আছেন, অ্যাক্টিভিস্ট আছেন, জুলাইয়ে আহত আছেন, নারী আছেন, ভিন্ন ধর্মাবলম্বী আছেন, কবি-নাট্যকার আছেন। সবাইকে নিয়েই আমাদের প্যানেল।
নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে তিনি বলেন, একটা গোষ্ঠী আছে যারা রাকসু বানচাল করতে চায়। তারা চায় না যে শিক্ষার্থীরা এমপাওয়ারড হোক। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
ডাকসু-জাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের এই সভাপতি বলেন, যদিও রাবি আলাদা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কিন্তু আমরা ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখেছি যে, শিক্ষার্থীরা ছাত্রশিবিরকে গ্রহণ করেছেন। তার মানে শিক্ষার্থীরা আমাদের ওপর আস্থা রাখছেন। আমাদের বিশ্বাস রাবিতেও তাই হবে। এখানে আমরা প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছে যাচ্ছি আমাদের ইশতেহার নিয়ে। অনলাইনেও আমরা প্রচারণা চালাচ্ছি। আমরা আমাদের বার্তা প্রতিটি শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
সবশেষে তিনি বলেন, জয়ী হলে আমি ছাত্রশিবিরের নয়, সব শিক্ষার্থীর ভিপি হিসেবে নির্বাচিত হবো। তখন সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমি কাজ করব। আমার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের জায়গা হবে রাকসু।
Comments