স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ২ লাখ ২৯ হাজার ৪৩০ টাকা
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দাম বাড়িয়েছে। যার ফলে, দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও নতুন রেকর্ড তৈরি করতে যাচ্ছে।
বাজুস জানিয়েছে, খাঁটি স্বর্ণের দাম স্থানীয় বাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আজ সোমবার থেকে প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ ২ লাখ ২৯ হাজার ৪৩০ টাকায় বিক্রি হবে। এর আগে দাম ছিল ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৫৬ টাকা।
রোববার রাতে বাজুস ঘোষণা দিয়েছে, স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫৭৪ টাকা বা ০.৬৯ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
নতুন এই দর সারাদেশে সোমবার থেকে কার্যকর হবে।
শুক্রবার দিনের শুরুতে এশিয়ার আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম রেকর্ড পর্যায়ে উঠেছে। নিরাপদ বিনিয়োগের চাহিদা বৃদ্ধি এবং মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার আরও কমানোর প্রত্যাশায় দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
১১ ডিসেম্বর থেকে স্থানীয় বাজারে স্বর্ণের দাম ক্রমাগত বাড়ছে।
এই সময়ের মধ্যে মূল্যবান এই ধাতুর দাম ছয় দশমিক ৬৬ শতাংশ বা প্রতি ভরিতে ১৪ হাজার টাকারও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
একাধিকবার পুরনো রেকর্ড ভেঙেছে।
শিল্পসংশ্লিষ্টরা এই দামবৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বর্ণ বাজার, টাকার অবমূল্যায়ন, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতিকে চিহ্নিত করেছেন।
বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে স্বর্ণ আমদানি না করলেও স্থানীয় বাজারে স্বর্ণের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের ওঠানামায় প্রভাবিত হয়।
২০১৮ সালের স্বর্ণ নীতিমালা অনুসারে বাংলাদেশে বার্ষিক স্বর্ণের চাহিদা ২০ থেকে ৪০ টনের মধ্যে।
দেশের স্বর্ণের চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশ চোরাকারবারের মাধ্যমে পূরণ হয় বলে ধারণা করা হয়।
এতে সরকারের উল্লেখযোগ্য রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে বলে শিল্পসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
জানুয়ারি ২০১৮-এ স্বর্ণের দাম প্রথমবারের মতো প্রতি ভরি ৫০ হাজার টাকা ছাড়ায়।
পাঁচ বছর পর জুলাই ২০২৩-এ তা এক লাখ টাকায় পৌঁছেছে।
পরবর্তীতে আরও বৃদ্ধি পেয়ে ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় এবং পরে ২ লাখ টাকারও বেশি হয়েছে।

Comments