জাপান সুদহার বাড়ানোর পর দুর্বল হচ্ছে ইয়েন

ব্যাংক অব জাপান, জাপান, নীতি সুদহার, ডলার, ইয়েন, জাপানি মুদ্রা, জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক,
রয়টার্স ফাইল ফটো

ব্যাংক অব জাপান ঋণাত্মক সুদহার নীতি প্রত্যাহার করে সুদহার বাড়িয়েছে, এই সিদ্ধান্তের পর জাপানি মুদ্রা ইয়েন দুর্বল হতে শুরু করেছে। আজ বুধবার মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইয়েন চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন এবং ইউরোর বিপরীতে ১৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে এসেছে বলে নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

নিক্কেই এশিয়া বলছে, ব্যাংক অব জাপান ১৭ বছরের মধ্যে প্রথম নীতি সুদহার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং আট বছর পর ঋণাত্মক সুদহারের ধারা থেকে বের হয়েছে।

দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছ, মার্কিন-জাপানি হারের মধ্যে পার্থক্য থাকায় ইয়েনের ওপর চাপ থাকবে, এই চাপ বজায় রেখে আপাতত সামঞ্জস্যপূর্ণ পরিস্থিতি ধরে রাখার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

সংবাদমাধ্যমটির তথ্য অনুযায়ী, বুধবার প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ১৫১ দশমিক ৩৪ ইয়েন, যা চার মাসের সর্বনিম্ন। ব্যাংক অব জাপান গতকাল সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরপরই এশিয়ান মুদ্রার দর ১ শতাংশ কমেছিল।

এদিকে ইউরোর বিপরীতেও দুর্বল হয়েছে ইয়েন, প্রতি ইউরোর দাম ১৬৪ দশমিক ৩৫ ইয়েনে নেমে এসেছে, যা ২০০৮ সালের পর সর্বনিম্ন। অন্যদিকে পাউন্ডের বিপরীতে ইয়েন দুর্বল হয়ে ১৯২ দশমিক ৩৭ এ নেমেছে, যা ২০১৫ সালের পর সর্বনিম্ন। জাপানের বাজার বুধবার ছুটির জন্য বন্ধ থাকে।

ওসিবিসির কারেন্সি স্ট্র্যাটেজিস্ট ক্রিস্টোফার ওং বলেন, 'আমি মনে করি ১৫২ এর কাছকাছি নজর আছে। তবে, ডলার বিপরীতে ইয়েনের দামে আরও কিছু জটিলতা দেখা যাবে। কারণ খুব শিগগির ফেডারেল রিজার্ভ সুদহারের সিদ্ধান্ত নেবে।'

মঙ্গলবার জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি ঐতিহাসিক সিন্ধান্ত নিয়েছে। তারা আট বছরের ঋণাত্মক সুদহার পরিবর্তন করেছে। ক্যাপিটাল ডট কমের জ্যেষ্ঠ বাজার বিশ্লেষক ড্যানিয়েলা হাথর্ন বলেন, বৈঠকের পর ব্যাংক অব জাপানের গভর্নর কাজুও উয়েদার মন্তব্যে জাপানি মুদ্রার ওপর চাপ বৃদ্ধির ইঙ্গিত ছিল।

ড্যানিয়েলা হাথর্ন বলেন, 'প্রধান মুদ্রাগুলোর বিপরীতে জাপানি মুদ্রার দরপতন অব্যাহত আছে এবং এটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার মানে, ইয়েন আরও দুর্বল হবে, বিশেষ করে যদি অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার কমাতে দেরি করে।'

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

11m ago