ব্যবসায়ীদের বিরোধিতার মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরে বর্ধিত শুল্ক কার্যকর

আমদানি ও রপ্তানিকারকদের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও বর্ধিত শুল্ক কার্যকর করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আজ বুধবার মধ্যরাত ১২টা ১ মিনিট থেকে নতুন শুল্কহার কার্যকর করা হয়।
এই সময়ের পর বন্দরে আসা কনটেইনার ও পণ্যবাহী জাহাজ থেকে বিভিন্ন পরিষেবার জন্য নতুন হারে শুল্ক নেওয়া হচ্ছে, যা আগের চেয়ে ৪১ শতাংশ বেশি।
ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, নতুন এই খরচ বৃদ্ধির কারণে তারা প্রতিযোগিতামূলক বাজারে পিছিয়ে পড়বে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ যে সার্কুলার দিয়েছিল, সেই অনুযায়ী সংশোধিত শুল্ক কার্যকর করা হয়েছে।
৪০ বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কনটেইনার ও জাহাজ পরিচালনাসহ বেশ কয়েকটি পরিষেবার ওপর চার্জ, ফি, ভাড়া ও টোল বাড়িয়েছে।
গত ২৪ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয় নতুন এই শুল্ক হার অনুমোদন দিলে ব্যবসায়ীরা ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানান।
এর ফলে প্রাথমিকভাবে সরকার এই শুল্ক কার্যকর স্থগিত রাখে এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বৈঠক করে। আলোচনা হলেও সেখান থেকে কোনো সমাধান না আসায় গত মাসে বর্ধিত শুল্ক কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
নতুন শুল্ক হার অনুযায়ী, আমদানিকারকদের প্রতি ২০ ফুট কনটেইনারে অতিরিক্ত ৫ হাজার ৭২০ টাকা দিতে হবে। আর রপ্তানিকারকদের বাড়তি গুণতে হবে ৩ হাজার ৪৫ টাকা।
এককভাবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে লোডিং ও আনলোডিং চার্জ—কনটেইনারে প্রতি ৪৩.৪০ ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৮ ডলার।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, নতুন শুল্ক ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ মেরিটাইম ল সোসাইটি শুল্ক বৃদ্ধির এই আদেশ বাতিল করার জন্য সরকার ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ দিয়েছে।
Comments