‘সাবা হয়ে ওঠা সত্যিই বড় চ্যালেঞ্জ ছিল’

মেহজাবীন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

টেলিভিশন নাটকে জনপ্রিয়তা অর্জনের পর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এবং চলচ্চিত্রেও সাফল্য পেয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। তার প্রথম চলচ্চিত্র 'প্রিয় মালতী' প্রশংসিত হওয়ার পর সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে 'সাবা'। 

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত এই ছবিতে মেহজাবীনের অভিনয় ইতিমধ্যেই দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে মেহজাবীন বলেন, 'সাবা মুক্তির পর কাছের মানুষদের প্রতিক্রিয়া ছিল অত্যন্ত আন্তরিক ও ভালোবাসায় ভরা। তারা বলেছেন কাজটি তাদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। আর হলে দর্শকদের চোখের পানি, করতালি আর মন্তব্য আমার কাছে সবচেয়ে বড় পুরস্কার।'

চরিত্রটি কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সাবা হয়ে ওঠা সত্যিই বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। চরিত্রটির ভেতরে ছিল মায়ের প্রতি ভালোবাসা, দায়িত্ববোধ, আবার নিজের স্বপ্নের টানাপোড়েন—সব একসাথে ফুটিয়ে তোলা সহজ ছিল না। তবে পরিচালক মাকসুদ ভাইয়ের ভিশন ও আমার অনুভূতি একসময় মিলিত হয়েছিল, তখনই আমরা একসাথে সাবাকে সৃষ্টি করতে পেরেছি।'

অভিনয়ের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে মেহজাবীন বলেন, 'এটি আমার অভিনয় জীবনের অন্যতম বড় অভিজ্ঞতা। অভিনয়ের সময় মনে হয়েছে আমি শুধু চরিত্রে অভিনয় করছি না, সত্যিই সাবা হয়ে গেছি। প্রতিটি মুহূর্ত আমাকে নিজের জীবনেও এক ধরনের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দিয়েছে।'

শিল্পী হিসেবে 'সাবা' চরিত্র কতটা প্রভাব ফেলেছে সে বিষয়ে তিনি জানান, 'এই যাত্রা আমাকে সমৃদ্ধ করেছে এবং আরও পরিণত করেছে একজন শিল্পী হিসেবে।'

আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ছবিটি প্রশংসিত হয়েছে বলে জানান তিনি। 'সাবা ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছে এবং অনেক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছে। এটি সাবার জন্য যেমন বড় পাওয়া, তেমনি অভিনেত্রী হিসেবে আমার জন্যও অসাধারণ আনন্দের,' বলেন মেহজাবীন।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

10m ago