নেপালের আন্দোলন ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই: মনীষা

নেপালে জেন-জিদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি। এই আন্দোলনের সমর্থন ছিল নেপালের শোবিজ তারকাদের। সেই তালিকায় আছেন নেপালের মেয়ে ও বলিউড অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা।
নেপালের প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বিশ্বেশ্বর প্রসাদ (বিপি) কৈরালার নাতনি মনীষা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিহতদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নেন।
মনীষা ইনস্টাগ্রামে একাধিক স্টোরি দিয়ে জানান, আন্দোলন কেবল ইন্টারনেট বন্ধের বিরুদ্ধে নয়, মূল বিষয় হলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুবসমাজের লড়াই।
নেপালে সোমবার আন্দোলন শুরু হয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালালে অন্তত ২০ জন নিহত হন।
অভিনেত্রী একটি রক্তাক্ত জুতার ছবি শেয়ার করে নেপালি ভাষায় লিখেছেন, 'আজ নেপালের জন্য একটি কালো দিন। মানুষের কণ্ঠস্বর, দুর্নীতিবিরোধী ক্ষোভ ও ন্যায় দাবির জবাব এসেছে গুলির মাধ্যমে।'
এর কিছুক্ষণ পর তিনি তার দাদু বিপি কৈরালার ছবি পোস্ট করে লেখেন, স্মরণ করছি বিপি-দাদাকে। তিনি নেপালের প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। আজ শিক্ষার্থীরা যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে ও স্বাধীনতার জন্য দাঁড়াচ্ছে, তখন সেই কথা আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে, 'গণতন্ত্র অবিভাজ্য; তুমি যদি ঘরে গণতন্ত্র চাও, তবে কোনো লড়াইকে অবহেলা করতে পারো না।'
এর মধ্যে আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে, যখন ছাত্ররা জানতে পারে সরকার ২৬টি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করেছে। এই সিদ্ধান্ত সহিংসতা আরও বাড়িয়ে দেয়।
এরপর নেপালের প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পৌডেল প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন এবং সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা একাধিক মন্ত্রীর বাড়ি, এমনকি অলির বাসভবনেও হামলা চালায়।
মনীষার দাদু বিপি কৈরালা ছাড়াও তার বড়ভাই এমপি কৈরালা ও ছোটভাই জিপি কৈরালা নেপালের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ফলে পরিবারটির সঙ্গে নেপালের রাজনৈতিক ইতিহাসের সম্পর্ক গভীর।
Comments