কেমন হবে নেপালের অন্তর্বর্তী মন্ত্রিসভা

কাঠমান্ডুর প্রেসিডেন্সিয়াল ভবন ‘শীতল নিবাস’ এর বাইরে সেনা পাহারা। ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫। ছবি: রয়টার্স

নেপালের সদ্য নিয়োগ পাওয়া অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি মন্ত্রিসভা গঠনে ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও জেন-জি আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ শুরু করেছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় শপথ নেওয়া কার্কি আজ রোববার থেকে সিংহ দরবারে দায়িত্ব নেবেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

কার্কির এক সহযোগী কাঠমান্ডু পোস্টকে জানিয়েছেন, দ্রুত পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা গঠনে রোববার সকাল থেকে আলোচনা শুরু করবেন।

তার এই সহযোগীর মতে, বিভিন্ন মহলের পরামর্শ মেনে সুশিলা কার্কি ১৫ জনের মন্ত্রিসভা গঠন করতে পারেন। তিনি বড় মন্ত্রিসভা গঠনে আগ্রহী নন।

দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর কার্কি আপাতত ২৫টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছেন। যদিও তার কাছে ২৫ জন মন্ত্রী নিয়োগের সুযোগ আছে, তবুও তিনি আগের প্রধানমন্ত্রীরা যেসব ভুল করেছেন, তার পুনরাবৃত্তি করতে চান না।

সহযোগীর ভাষ্য, 'তাই তিনি ১৫ জনের কম সদস্য নিয়ে ছোট একটি মন্ত্রিসভা গঠনের চিন্তা করছেন।'

কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, মন্ত্রী হিসেবে ইতোমধ্যে কয়েকটি নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আন্দোলনের একটি মূল গ্রুপের সঙ্গে পরামর্শের পর।

শোনা যাচ্ছে, আইনজীবী ওম প্রকাশ আর্যল, বালানন্দ শর্মা, আনন্দ মোহন ভট্টরাই, মাধব সুন্দর খাডকা, আশীম মান সিং বসনেত ও কুলমান ঘিসিংয়ের নাম মন্ত্রীপদে আলোচনায় রয়েছে।

চিকিৎসা খাত থেকেও কয়েকজনের নাম বিবেচনায় আছে, ডা. ভগবান কৈরালা, ডা. সান্দুক রুইট, ডা. জগদীশ আগরওয়াল ও ডা. পুকার চন্দ্র শ্রেষ্ঠ।

অন্যদিকে, জেন-জি সদস্যরাও নিজেদের মধ্যে পরামর্শ চালাচ্ছেন মন্ত্রী নির্বাচনের জন্য। এমনকি ডিসকর্ডের মতো সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মেও আলোচনা চলছে।

প্রধানমন্ত্রীর এক সহযোগী জানিয়েছেন, যদি ঐক্যমত্যে পৌঁছানো যায়, তবে রোববার সন্ধ্যায় নতুন মন্ত্রীদের শপথ পড়ানো হবে। অন্যথায় তা সোমবার পর্যন্ত পিছিয়ে যেতে পারে।

যুব আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠন 'হামি নেপাল' এখন মূল রাজনৈতিক আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছে। তবে সংগঠনটির নেতা সুদান গুরুংসহ অন্যরা সরকারে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

শনিবার কার্কি কিছু অভ্যন্তরীণ বৈঠক করেন এবং পরে তিনটি হাসপাতালে গিয়ে আন্দোলনে আহত তরুণদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বীর হাসপাতাল, পাশের ট্রমা সেন্টার ও নিউ বানেশ্বরের সিভিল সার্ভিস হাসপাতালে গিয়ে তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।

আহত তরুণদের অধিকাংশই তাকে অনুরোধ করেছেন, তারা যে ত্যাগ স্বীকার করেছে তা যেন ভুলে না যান। তারা আরও অনুরোধ করেছে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যেন আর রাস্তায় নেমে একই ধরনের আন্দোলনে অংশ নিতে না হয়, সে ব্যবস্থা নিতে হবে।

শনিবার সন্ধ্যায় কার্কি প্রধান সচিব এক নারায়ণ আর্যল, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল অশোক সিগদেল, স্বরাষ্ট্র সচিব গোকর্ণ মণি দুয়াদি এবং অর্থ সচিব ঘনশ্যাম উপাধ্যায়ের পাশাপাশি অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে আপডেট তথ্য নেন।

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda Zia’s janaza held

The namaz-e-janaza of BNP Chairperson Khaleda Zia was held at the South Plaza of the Jatiya Sangsad Bhaban today

6h ago