‘জীবনে অনেক কিছুতেই ফেইলিয়র হয়েছি, বন্ধুরা ইন্সপায়ার করেছে’

শরিফুল রাজ। ছবি: সংগৃহীত

নিজের শৈশব, কৈশোর ও তারুণ্যের স্মৃতিবিজড়িত শহর সিলেটে নিজের অভিনীত সিনেমা 'পরাণ' ও 'হাওয়া' দেখছেন শরিফুল রাজ। এসময় তিনি বলেন, 'সিলেট আমার কাছে শুধু শহর না, আমার খুব প্রিয় শহর, নিজের শহর।'

আজ সোমবার দুপুরে সিলেটের গ্রান্ড সিলেট হোটেল ও রিসোর্টের গ্রান্ড সিনেপ্লেক্সে সিনেমা দেখতে এসে শরিফুল রাজ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় সিলেটে কাটানো তার শৈশব, কৈশোর ও তারুণ্যের স্মৃতিচারণ করেন।

তিনি বলেন, 'আমার বয়সের অর্ধেকটাই আমি সিলেটে কাটিয়েছি আব্বুর চাকরির সুবাদে। তিনি ডিজিএফআইয়ে কর্মরত ছিলেন। প্রথমে আমার স্কুল সিলেটের শাহী ঈদগাহ'র শাহ মীর প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারপর এইডেড হাইস্কুল ও মদনমোহন কলেজ। শুধু স্কুল কলেজ না, কালচারাল একটিভিটিতেও ছিলাম, রেড ক্রিসেন্টের মেম্বার, এক্স ক্যাডেট। সব মিলিয়ে আমার মানসিকভাবে বড় হয়ে ওঠা সিলেটে।'

তিনি বলেন, 'আমার খুব কাছের বন্ধুবান্ধব হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, নয়তো সিলেটে। সিলেট ছাড়ার পরও বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল, এখনো আছে। তারাও ঢাকায় যেত, আমি সিলেট আসতাম। জীবনে অনেক কিছুতেই ফেইলিয়র হয়েছি, কিন্তু ওরা আমাকে ইন্সপায়ার করেছে হাল না ছাড়ার জন্য। এখন অনেকেই সিলেটে নেই, একেকজন একেক দেশে। যারা সিলেটে আছে, তাদের সবার সঙ্গে দেখা করব।'

জন্মস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হলেও সিলেটের জন্য আলাদা মায়া আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আব্বু রিটায়ারমেন্টের পর সিলেটেই থেকে গেলেন, সিলেটকে খুব পছন্দ করেন। আব্বু বটেশ্বরে বাসা করেছেন, সেখানেই থাকেন। সেই সূত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আমার দাদার বাড়ি, সিলেট আমার আব্বুর বাড়ি। সিলেট আমার দীর্ঘ ১২-১৩ বছরের জার্নি, অনেক লম্বা জার্নি। অনেকবছর থেকেছি আম্বরখানা সরকারি কলোনিতে। অনেক স্মৃতি, কলোনির একটা লাইফ আছে, খুবই মজার লাইফ। কলোনির সবাইকে খুব মিস করি, প্রত্যেকটা ফ্যামিলিকে মিস করি, সবাই এক ছিল, সব বিল্ডিংয়ের সবাইকে চিনতাম, অনেক বন্ধু ছিল, ওদের মিস করি। আজ একবার একটু যাব সিনেমা দেখার পর।'

গ্রান্ড সিনেপ্লেক্সের আগে সিলেটে স্বপরিবারে সিনেমা দেখার পরিবেশ ছিল না উল্লেখ করে রাজ বলেন, 'আমার আগের সিনেমা সিলেটে আসেনি। এই প্রথম আমার অভিনীত সিনেমা 'পরান' ও 'হাওয়া' সিলেটে এসেছে। অনলাইনে দেখলাম সিনেমা দুটি সিলেটে খুব ভালো চলছে। আমি খুব অবাক হলাম একটা হোটেল মুভি থিয়েটার করেছে, সেটাও দেখার ইচ্ছা ছিলো।'

Comments

The Daily Star  | English

‘This fire wasn’t an accident’: Small business owner’s big dreams destroyed

Once a garment worker, now an entrepreneur, Beauty had an export order ready

5h ago