সাগরে নিম্নচাপ, সোমবার রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোন্থায়

প্রতীকী ছবি

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর আশেপাশের এলাকায় একটি নিম্নচাপ অবস্থান করছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এটি আরও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে মোন্থা। আবহাওয়াবিদদের মতে, মোন্থা 'সিভিয়ার সাইক্লোন' হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার থেকে এক হাজার ২৫৫ কিলোমিটার, মোংলা থেকে এক হাজার ৩০৫ কিলোমিটার ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

এটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। নিম্নচাপের কেন্দ্রে ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতি রয়েছে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা ঝড়ো হাওয়া আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ইতোমধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখানোর পরামর্শ দিয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে এদিন রাতে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে, ২৭ অক্টোবর সকালে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।'

'ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর গতিপথ সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে। গাণিতিক মডেল অনুসারে, ২৮ বা ২৯ অক্টোবর এটি ভারতের অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করতে পারে,' যোগ করেন তিনি।

মোন্থা সিভিয়ার সাইক্লোন হতে পারে উল্লেখ করে নাজমুল বলেন, 'এর প্রভাবে ২৮ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে বৃষ্টি হবে।'

'খুলনা, বরিশাল ও ঢাকায় বৃষ্টিপাত তুলনামূলক কম হতে পারে। এছাড়া, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও কম থাকতে পারে,' যোগ করেন তিনি।

এই আবহাওয়াবিদ আরও বলেন, 'রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে বৃষ্টিপাত থাকবে সবচেয়ে বেশি। এসব এলাকায় মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।'

মোন্থা নামকরণ

মোন্থা নামটি রেখেছে থাইল্যান্ড। থাই ভাষার এর অর্থ 'সুবাসিত ফুল' বা 'সুন্দর ফুল'।

পাঁচটি বিশেষ আঞ্চলিক আবহাওয়া সংস্থার (আরএসএমসি) সঙ্গে সমন্বয় করে ২০০৪ সাল থেকে আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও) ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে। আরএসএমসি তার সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে নামের তালিকা নিয়ে দীর্ঘ সময় যাচাই-বাছাই শেষে সংক্ষিপ্ত তালিকা করে ডব্লিউএমওর কাছে পাঠায়।

আঞ্চলিক কমিটির একটি প্যানেল ডব্লিউএমও/এসকাপ প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোনস বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা অনুমোদন করে। এই প্যানেলে রয়েছে ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, ইরান, কাতার, সৌদি আরব, ইয়েমেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি, ধরন সম্পর্কে দ্রুত তথ্য জানতে নাম রাখার প্রচলন শুরু হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Ocean of mourners gather to pay tribute to Khaleda Zia

People from all walks of life arrive by bus, train and other modes of transport

2h ago