পাবনা

কাঁচা মরিচের কেজি ৭০০ টাকা

ঈদের আগে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকায়। ছবি: স্টার

ফলন বিপর্যয়ের পাশাপাশি টানা বৃষ্টির কারণে  সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হওয়ায় পাবনার পাইকারি বাজারে দফায় দফায় বাড়তে থাকা কাঁচা মরিচের দাম ৬০০ টাকায় পৌঁছেছে। আর ওখানকার খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি মরিচ কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ৭০০ টাকার বেশি।

মরিচাষি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এপ্রিল ও মে মাসে খরার পর হঠাৎ অতিবৃষ্টিতে বেশির ভাগ মরিচগাছ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে কারণে অধিকাংশ গাছে ফলন নেই বললেই চলে। এর ওপর টানা বৃষ্টিতে মরিচ সংগ্রহের কাজটি কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে মরিচ উৎপাদনের এলাকা হিসেবে পরিচিত সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলাতেও কাঁচা মরিচের দাম আকাশ ছুঁয়েছে।

পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ রোডের খুচরা বিক্রেতা মো. নান্নু জানান, আজ শনিবার সকালে পাবনা বড়বাজার থেকে পাইকারিতে ৬০০ টাকা কেজিতে ৫ কেজি মরিচ কিনেছেন তিনি। নান্নু বলেন, বিক্রির জন্য আমার দোকানের প্রতিদিন ২০ কেজি মরিচ লাগে। কিন্তু ঈদের পর ওই পরিমাণ মরিচ পাচ্ছি না।'

পাবনার অন্যতম প্রধান সবজি বাজার কাশিপুর হাটের পাইকারি ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদ বলেন, 'আগে প্রতি হাটে ১০০ মণের বেশি আসত। কিন্তু ঈদের পর তা এক ধাক্বায় অনেক কমে গেছে।'

বেড়া বাজারের ব্যবসায়ী মো. সেরাই বললেন, ঈদের আগেও এখানে প্রতি কেজি মরিচের দাম ছিল ৪০০ টাকা।

বেড়ার বড়শিলা গ্রামের মরিচচাষি সাইদুল ইসলাম জানান, গরমের কারণে তার অনেক মরিচ গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি গাছ থেকেও প্রত্যাশিত ফলন আসছে না।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে পাবনায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে।

সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন, 'গরম ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে এ বছর মরিচের চাষ ব্যাহত হওয়ায় গত বছরের তুলনায় মরিচের উৎপাদন কমে গেছে।'

অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ জামাল উদ্দিনের ভাষ্য, টানা বৃষ্টিতে কৃষকরা খেত থেকে মরিচ তুলতে পারছেন না।

 

Comments

The Daily Star  | English
Gunfight

Local BNP leader shot dead in Dhaka’s Badda

When Kamrul was sitting on a chair on the roadside and talking with 2-3 people, two assailants on foot came from behind and shot him before fleeing the scene

1h ago