শিকাগোর ট্রেনে ৪ ঘুমন্ত যাত্রীকে গুলি করে হত্যা, বন্দুকধারী গ্রেপ্তার

ব্লু লাইন ট্রেনের ও'হারা স্টেশন। ফাইল ছবি: ট্রানজিট শিকাগোর ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া
ব্লু লাইন ট্রেনের ও'হারা স্টেশন। ফাইল ছবি: ট্রানজিট শিকাগোর ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের এক ট্রেনে চার যাত্রীকে গুলি করে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

সন্দেহভাজন হত্যাকারীর নাম রিহানি ডেভিস (৩০)। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে ফরেস্ট পার্ক পুলিশ।

সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় শিকাগোর শহরতলীর ফরেস্ট পার্ক ব্লু লাইন ট্রেনে চার যাত্রীকে গুলি করা হয়। এ সময় যাত্রীরা ঘুমিয়ে ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিন ব্যক্তি। চতুর্থজন পরবর্তীতে হাসপাতালে প্রাণ হারান।

নিহতদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় পেয়েছে কতৃপক্ষ। তারা হলেন সিমিওন বিহেসি (২৮) ও অ্যাড্রিয়ান কলিন্স (৬০)।

পরবর্তীতে কুক কাউন্টির মেডিকেল পরিক্ষকের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, অপর এক নিহতের নাম মার্গারেট মিলার (৬৪)। চতুর্থ ব্যক্তি একজন পুরুষ, তবে এখনো তার পরিচয় জানানো হয়নি।

ফরেস্ট পার্ক পুলিশ বিভাগের উপ-প্রধান ক্রিস্টোফার চিন জানান, এই সহিংস হামলা একটি 'বিচ্ছিন্ন ঘটনা'। বন্দুকধারী গুলি করে 'ট্রেনে ঘুমিয়ে থাকা চারজন মানুষকে মেরে ফেলেছেন'।

বন্দুকধারী রিহানি ডেভিসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: স্থানীয় পুলিশের সৌজন্যে
বন্দুকধারী রিহানি ডেভিসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: স্থানীয় পুলিশের সৌজন্যে

'এটা ডাকাতির ঘটনা নয়। মনে হয়নি তিনি কারো সঙ্গে কোন ধরনের ঝগড়া-বিবাদে জড়িয়েছিল', যোগ করেন তিনি।

মঙ্গলবার কৌঁসুলি কিম ফক্স আদালতে অভিযোগ উপস্থাপনের সময় এ ঘটনাকে 'ব্যাখাতীত' বলে অভিহিত করেন।

'এটা ভয়াবহ ঘটনা', বলেন তিনি। 'আমরা উত্তর চাই'।

পুলিশ ভিডিও ফুটেজে দেখতে পেয়েছে, হামলাকারী ব্যক্তি ট্রেনের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়য় দুইটি ভিন্ন ভিন্ন ক্যারিয়েজে ঘুমিয়ে থাকা চার ব্যক্তিকে গুলি করেন। নিহতরা কেউই একই বগিতে ছিলেন না।

আজ বুধবার সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

ব্লু লাইন ট্রেন দিনে ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকে। এটি ফরেস্ট পার্ক থেকে শিকাগোর ও'হারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত যাত্রী আনা নেওয়া করে। যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম সরকারি রেল প্রতিষ্ঠান শিকাগো ট্রানজিট অথোরিটি এই সেবা দেখভাল করে।

যুক্তরাষ্ট্রে জনসংখ্যার চেয়ে বন্দুকের সংখ্যা বেশি এবং দেশটিতে এ ধরনের সহিংসতার ঘটনা খুবই সাধারণ।

 

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

1h ago