রাশিয়ার হয়ে লড়তে সেনা পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া, দাবি ইউক্রেনের

উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর মহড়া। ফাইল ছবি: এএফপি
উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর মহড়া। ফাইল ছবি: এএফপি

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সাহায্য করতে গোলাবারুদ ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে উত্তর কোরিয়া, এমন অভিযোগ রয়েছে। ইউক্রেনের দাবি, এবার সেনা মোতায়েন করে রাশিয়াকে সাহায্য করতে চলেছে দক্ষিণ-পুর্ব এশিয়ার দেশটি।

গতকাল বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।

ইউক্রেনের একটি সামরিক গোয়েন্দা সূত্র বিবিসিকে জানায়, প্রায় তিন হাজার উত্তর কোরিয়ান সেনার একটি ইউনিট এখন রাশিয়ায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।

তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এমন তথ্য উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'ব্রিটিশ ও মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রগুলো এই কথা বলছে। কিন্তু তারা কোনো প্রমাণ দিতে পারছে না'।

এর আগে পিয়ংইয়ং রাশিয়াকে গোলাবারুদ ও ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার অভিযোগও নাকচ করেছে। মস্কোও বলেছে এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন।  

গত জুনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন একটি পারস্পরিক সহায়তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে, যার খুঁটিনাটি কখনো গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। ধারণা করা হয়, এই চুক্তি অনুযায়ীই রাশিয়াকে গোলাবারুদ ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে উত্তর কোরিয়া। সেনা পাঠানোও এই চুক্তির অংশ হয়ে থাকতে পারে।

২০১৯ সালে রাশিয়ায় বৈঠক করেন পুতিন ও কিম জং। ফাইল ছবি: রয়টার্স
২০১৯ সালে রাশিয়ায় বৈঠক করেন পুতিন ও কিম জং। ফাইল ছবি: রয়টার্স

নিউ ইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইউক্রেন যুদ্ধে মোট এক লাখ ১৫ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও পাঁচ লাখ। ৩২ মাস ধরে চলতে থাকা এই যুদ্ধের প্রভাব রুশ অর্থনীতিতেও পড়েছে।

পশ্চিমা গণমাধ্যমের মত, নানা বিধিনিষেধের বেড়াজালে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছে রাশিয়া।  এ কারণেই উত্তর কোরিয়া ও ইরানের মতো দেশগুলোর সঙ্গে সহায়তা চুক্তি করছে মস্কো।  

বিনিময়ে কী পাচ্ছে উত্তর কোরিয়া

গার্ডিয়ান জানায়, রাশিয়ায় সেনা সহায়তা পাঠানোর বদৌলতে উত্তর কোরিয়া সামরিক ও অর্থনৈতিক খাতে সাহায্য পেতে পারে। রাশিয়া ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের যে অংশগুলো দখল করেছে, সেখানে অবকাঠামো র্নির্মাণে উত্তর কোরিয়া থেকে শ্রমিক নেওয়া হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা অনুমান করছেন।  

এছাড়া সবসময় সামরিক উত্তেজনার মধ্যে থাকা উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে সম্মুখ যুদ্ধের অভিজ্ঞতা বাড়াতে পারে। সত্যিকারের যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধাস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র কতটা কার্যকরী, সেই পরীক্ষাও হয়ে যাবে ইউক্রেনে।

এদিকে উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধে যোগদানের প্রশ্নে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এখন তার দেশের আরও বেশি আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন।

 

Comments

The Daily Star  | English

'Some of your men are working in favour of a particular party'

Jamaat tells chief adviser; presses for constitutional recognition of July Charter

1h ago