কাজে এলো না ‘বাংলাদেশি’ ইস্যু, ঝাড়খণ্ডে বিজেপির ভরাডুবি

নির্বাচনী সভায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন। ছবি সৌজন্য: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঝাড়খণ্ডে 'বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের' নিয়ে ভোটারদের মাঝে ভয় ছড়ানোর কৌশল নিয়েছিল বিজেপি। তাদের সেই প্রচারণা প্রত্যাখ্যান করেছে ঝাড়খণ্ডের জনগণ। বিজেপির ভরাডুবি নিশ্চিত করে রাজ্যটিতে আবার ক্ষমতায় ফিরেছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) নেতৃত্বাধীন জোট।

গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় এবার ঝাড়খণ্ডে কম আসন পেতে যাচ্ছে বিজেপি। অপরদিকে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, জেএমএম নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের আসন সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে।

ঝাড়খণ্ডে বিজেপির মাসব্যাপী প্রচারণা চলাকালে প্রায় প্রতিটি জনসভায় ঘুরেফিরে এসেছে অনুপ্রবেশকারী প্রসঙ্গ, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর প্রচারণায়।

বিজেপির নেতারা একাধিকবার অভিযোগ করেছেন, জেএমএম 'জমি ও লাভ জিহাদ'-এর মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারীদের লাল গালিচা বিছিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করাচ্ছে। তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ঝাড়খণ্ডে এসে আদিবাসী মেয়েদের বিয়ে করে তাদের জমি দখল করছে। এর জবাবে জেএমএম নেতা হেমন্ত সরেন পাল্টা প্রশ্ন করেছিলেন, সীমান্তে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে বিএসএফ থাকার পরও কীভাবে অনুপ্রবেশ চলছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার হিসেব অনুযায়ী, এই রাজ্যে ৮১ আসনের মধ্যে ৫৩ আসনে জয় পেতে যাচ্ছে ইন্ডিয়া জোট। বিজেপি জয় পেয়েছে ২৬ আসনে। বিধানসভা নির্বাচনে আরেক রাজ্য, মহারাষ্ট্রে বড় জয়ের পথে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট। ২৮৮ আসনের মধ্যে ২২৬টিতেই জয় পেতে যাচ্ছে তারা।

২০১৯ সালে ঝাড়খণ্ডে জেএমএম ক্ষমতায় আসার আগে এই রাজ্য শাসন করেছে বিজেপি জোট। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিজেপির রঘুবর দাস। 

বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন একজন আদিবাসী। গত জানুয়ারিতে তার বিরুদ্ধে আসা অর্থ পাচারের অভিযোগকে প্রতিহিংসামূলক হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। এই অভিযোগও নির্বাচনে তার পক্ষে কাজ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Tobacco use drops, still above regional average

Even though tobacco consumption in the country has declined over the last one and a half decades, it still remains higher than the global and South-East Asia regional averages, according to a World Health Organisation report published yesterday.

6h ago