দক্ষিণ কোরিয়ায় উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা

‘আর কারো বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে’

দক্ষিণ কোরিয়ায় দুর্ঘটনাকবলিত উড়োজাহাজে উদ্ধারকাজ চলছে। ছবি: এএফপি
দক্ষিণ কোরিয়ায় দুর্ঘটনাকবলিত উড়োজাহাজে উদ্ধারকাজ চলছে। ছবি: এএফপি

বিধ্বস্ত উড়োজাহাজ থেকে আর কোনো যাত্রীকে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা আর নেই বললেই চলে। এমনটাই বলেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা। ইতোমধ্যে দুই আরোহীকে জীবিত উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা।

আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।  

এই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৬ হয়েছে।

বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটিতে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরীয় ও দুইজন থাই নাগরিক ছিলেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

আজ রোববার দিনের শুরুতে ব্যাংকক থেকে এই ফ্লাইটটি ছেড়ে যায়। সকাল নয়টার দিকে জেজু এয়ারের উড়োজাহাজটি  দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে একটি দেয়ালে ধাক্কা খায়। নিমিষেই উড়োজাহাজটিকে আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে নেয়।

প্রাথমিকভাবে পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগা ও বৈরি আবহাওয়াকে এই দুর্ঘটনার কারণ বলে অভিহিত করেছে ফায়ার সার্ভিস।

জীবিত উদ্ধার হওয়া আরোহীর মধ্যে দুইজনই ক্রু সদস্য বলে জানিয়েছে কোরিয়া হেরাল্ড। তারা উড়োজাহাজের পেছন দিকে থাকায় রক্ষা পেয়েছেন। 

মোট ১৮১ আরোহীর মধ্যে (১৭৫ যাত্রী ও ছয় ক্রু) ৮৫ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। ২৮ জনের পরিচয় নিশ্চিত হতে পেরেছে কর্তৃপক্ষ।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, উদ্ধারকৃত দুইজন বাদে বাকি ১৭৯ জন আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন।

দমকল বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, 'উড়োজাহাজটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে বলা যায়'। মরদেহ উদ্ধার কার্যক্রমের গতি কমে এসেছে বলেও তিনি জানান। 

মুয়ানের ফায়ার সার্ভিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'উড়োজাহাজের বেশিরভাগ অংশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে এবং নিহতদের পরিচয় জানা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা তাদের মরদেহ চিহ্নিত করে উদ্ধার করছি। এতে অনেক সময় লাগছে।'

'দেওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার পর আরোহীরা উড়োজাহাজ থেকে ছিটকে বাইরে পড়ে যান। যার ফলে কারও জীবিত থাকার সম্ভাবনা খুবই কম', বলেন তিনি। 
 

Comments

The Daily Star  | English

BNP sticks to demand for polls by December

In a meeting with Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night, the BNP restated its demands that the next general election be held by December and the government immediately announce a roadmap to that end.

5h ago