হামাসকে গোপনে হাজারো কোটি ডলার দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন: মার্কিন সিনেটর

উত্তর গাজার জাবালিয়ায় হামাসের প্রতিনিধির কাছ থেকে অর্থ সহায়তা নিচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। ফাইল ছবি: রয়টার্স
উত্তর গাজার জাবালিয়ায় হামাসের প্রতিনিধির কাছ থেকে অর্থ সহায়তা নিচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। ফাইল ছবি: রয়টার্স

হামাসের পেছনে হাজারো কোটি ডলার ঢেলেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। এমনটাই দাবি করেছেন রিপাবলিকান সিনেটর টেড ক্রুজ।

আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট।

ট্রাম্প প্রশাসন বিদেশি সহায়তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সিনেটর টেড ক্রুজ দ্য ডেইলি কলারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানান।

টেড বলেন, 'তারা গোপনে হামাসের পেছনে হাজারো কোটি ডলার ঢেলেছে, যার মধ্যে আছে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ। এই নগদ অর্থের কখনোই কোনো হিসেব দেওয়া হয়নি।'

টেক্সাসের এই সিনেটর সামাজিক মাধ্যম এক্সে পোস্ট করে বলেন, 'বাইডেন প্রশাসন যতদিন ক্ষমতায় ছিল, তারা জানতো যে গাজায় যে অর্থ পাঠানো হচ্ছে, তা হামাসের উপকারে আসবে। তা সত্ত্বেও তারা এই উদ্যোগ চালিয়ে গেছে।'

ডেইলি কলারের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাইডেন প্রশাসন মার্কিন করদাতাদের ১৩০ কোটি ডলার এমন সব সংস্থা বা গোষ্ঠীকে দিয়েছে যারা জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে অথবা সরাসরি এর সঙ্গে জড়িত।

এই অর্থের সবচেয়ে বড় অংশটি গেছে ফিলিস্তিনি সংগঠনের কাছে।

টেড বলেন, 'কঠোর পরিশ্রমে অর্জিত ডলার কোথায় যাচ্ছে, সেটা জানার অধিকার আছে আমেরিকানদের। এই ব্যয় দেশের স্বার্থের সঙ্গে যায় কী না, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে', যোগ করেন তিনি।

টেড মেনে নেন, মার্কিন আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা ইউএসএআইডির কিছু কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ। তবে সার্বিকভাবে এই সংস্থাকে জবাবদিহির আওতায় আনা জরুরি বলে মত দেন তিনি।

রিপাবলিকান নেতা টেড ক্রুজ। ফাইল ছবি: রয়টার্স
রিপাবলিকান নেতা টেড ক্রুজ। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক টেড ক্রুজ এর আগেও বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদের অর্থায়নের অভিযোগ এনেছেন।

২০২৪ এর জুলাইয়ে দেওয়া বিবৃতিতে টেড বলেন, 'বাইডেন-হ্যারিসের কর্মকর্তারা হামাস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় লাখো ডলার ঢেলেছে, যা হামাস আত্মসাৎ করেছে। সব মিলিয়ে ইরানের আয়াতুল্লাহর (খামেনি) কাছে ১০ হাজার কোটি ডলার গেছে, যা জঙ্গিবাদের বিস্তারে ব্যবহার করা হয়েছে।'

'এবং এটাই সত্য যে বাইডেন-(কমলা) হ্যারিস প্রশাসন ৭ অক্টোবরের জঙ্গি হামলার অর্থায়নের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। ওই হামলা ছিল হলোকাস্টের পর ইহুদীদের ওপর এক দিনে সবচেয়ে বড় আকারের গণহত্যার ঘটনা', যোগ করেন তিনি।

২০২৩ সালের অক্টোবরে টিম বারশেটসহ কয়েকজন রিপাবলিকান প্রতিনিধি ইউএসআইডিকে চিঠি পাঠিয়ে কিছু তথ্য চান। তারা হামাসকে সহায়তা করার বিষয়ে সংস্থাটিকে সতর্ক করেন।

Comments

The Daily Star  | English
A bitter brew: Climate change and the decline of Sylhet’s tea gardens

A bitter brew: Climate change and the decline of Sylhet’s tea gardens

Projections by the United Nations Food and Agriculture Organization (FAO) indicate that tea cultivation areas could shrink by 2050.

7h ago