৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল, হামাস না মানলে ফল খারাপ হবে: ট্রাম্প

ফ্লোরিডায় ট্রাম্প। ছবি: এএএফপি
ফ্লোরিডায় ট্রাম্প। ছবি: এএএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবি, ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে নিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। পাশাপাশি, হামাস এই চুক্তি না মানলে ফলাফল আরো খারাপ হবে বলেও দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি ও ডয়চে ভেলে।

কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতির চুক্তি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আপাতত ৬০ দিনের জন্য এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পরে ক্রমান্বয়ে তা বাড়ানো হবে এবং স্থায়ী সমাধানের পথ খোঁজা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে গাজায় গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) নামে যে মানবাধিকার সংস্থাটি কাজ করছে, তা সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তাদের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল পরিচালিত এই সংস্থাটি অন্য সংস্থাগুলোকে ত্রাণ সরবরাহের কাজ করতে দিচ্ছে না। এই সংস্থার কর্মীদের ঘিরে রাখে বেসরকারি মার্কিন সেনা এবং ইসরায়েলের সেনা। বিভিন্ন জায়গায় অন্য সংস্থার ত্রাণকর্মীদের উপর আক্রমণ চালিয়েছে তারা। জাতিসংঘ নির্দেশিত পথে ত্রাণ বিতরণ করছে না এই সংস্থা—এমন অভিযোগও এসেছে।

অন্যদিকে ইসরায়েলের অভিযোগ, এই সংস্থা ছাড়া অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বিতরণ করা ত্রাণ হামাসসহ অন্যান্য জঙ্গিদের হাতে পড়ছে।

উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত এক শিশুকে বহন করে নিয়ে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি। ছবি: এএফপি
উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত এক শিশুকে বহন করে নিয়ে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি। ছবি: এএফপি

এদিকে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইসরায়েল ইতোমধ্যে নতুন যুদ্ধবিরতির চুক্তি মানতে সম্মত হয়েছে। চুক্তির বিস্তারিত তথ্য না জানালেও তিনি মন্তব্য করেন, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীরা খুব খেটে এই চুক্তির খসড়া তৈরি করেছেন। ট্রাম্পের মতে, এর চেয়ে ভালো চুক্তি তৈরি করা আর সম্ভব নয়। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরানোর জন্য হামাসের উচিত এই চুক্তি মেনে নেওয়া।

ট্রাম্প বলেন, 'আমি আশা করব, মধ্যপ্রাচ্যের মঙ্গলের কথা মাথায় রেখে হামাস এই চুক্তিতে রাজি হবে। (হামাস) না মানলে কোনো ভালো ফল আসবে না—বরং আরও খারাপ হবে।'

উল্লেখ্য, আগামী সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর। তার আগে হামাস এই চুক্তি মেনে নিক, এমনটাই চাইছে মার্কিন প্রশাসন।

এর আগেও ইসরায়েল এবং হামাসকে যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু তা বাস্তবে সম্ভব হয়নি। গাজায় ক্রমাগত আক্রমণ চালিয়ে গেছে ইসরায়েলের সেনা। তবে এবার যুদ্ধবিরতি চুক্তির বয়ান অনেক বেশি বাস্তবসম্মত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

Comments

The Daily Star  | English

Water lily tug-of-war continues

The Election Commission and National Citizen Party remain locked in a heated debate over the party’s choice of electoral symbol, the water lily -- a dispute that began in June..Despite several exchanges of letters and multiple meetings between NCP and the chief election commissioner, other

2h ago