নিউইয়র্কে বন্দুক হামলায় নিহত পুলিশ কর্মকর্তা বাংলাদেশি অভিবাসী

ছবি: নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট

যুক্তরাষ্ট্রের মিডটাউন ম্যানহাটনের একটি ভবনে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের (এনওয়াইপিডি) কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম একজন বাংলাদেশি অভিবাসী।

সোমবার মার্কিন সংবাদমাধ্যমে নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওই বন্দুকধারী ছিলেন 'মানসিক বিকারগ্রস্ত'।

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'তিনি (দিদারুল ইসলাম) নিউইয়র্কবাসীকে রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা একজন অভিবাসী এবং এই শহরকে ভালোবাসতেন। আমরা যাদের সঙ্গে কথা বলেছি, সবাই বলেছেন যে তিনি একজন ধর্মভীরু মানুষ ছিলেন এবং সৎ জীবনযাপন করতেন।'

সংবাদ সম্মেলনের বরাতে নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার ৩৪৫ পার্ক অ্যাভিনিউতে সন্দেহভাজন ঘাতক ২৭ বছর বয়সী শেইন তামুরার হাতে প্রাণ হারান ৩৬ বছর বয়সী দিদারুল।

মেয়র বলেন, 'তিনি দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। যেভাবে নিউইয়র্ক পুলিশের প্রতিটি সদস্য দায়িত্ব পালন করেন, তিনিও সেভাবে অন্যদের নিরাপত্তা দিতেন।'

সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, দিদারুলের স্ত্রী আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা এবং তাদের দুই সন্তান আছে।

দিদারুল ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে এনওয়াইপিডির সদস্য হিসেবে কাজ করছেন এবং ব্রঙ্কসের ৪৭তম প্রিসিনক্টে কর্মরত ছিলেন। সোমবার তিনি দায়িত্বরত ছিলেন না। তবে রুডিন ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে ওই ভবনে কাজ করছিলেন। তখন তিনি এনওয়াইপিডির ইউনিফর্ম পরিহিত ছিলেন।

নিউইয়র্ক পোস্টের কাছে আসা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গুলির আগে সন্দেহভাজন ঘাতক শেইন তামুরা ওই ভবনে অবস্থান করছিলেন।

এই হামলার ঘটনায় আরও তিনজন সাধারণ নাগরিক নিহত হন এবং একজন আহত হন। আহত ব্যক্তি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বন্দুকধারী তামুরা হামলার পর আকাশচুম্বী ভবনটির ভেতরে লুকিয়ে থাকেন। পরে ৩৩তলায় আত্মঘাতী গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার মধ্য ম্যানহাটনের একটি সুউচ্চ ভবনে বন্দুকধারীর গুলিতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও আছেন। পরে বন্দুকধারী নিজেও নিহত হন।

Comments

The Daily Star  | English
How artistes flamed cultural defiance in July

How artistes flamed cultural defiance in July

From stage to street, artistes and activists led a cultural revolt against brutality and censorship

8h ago