ইসরায়েলি রাজনীতিবিদের ভিসা বাতিল করল অস্ট্রেলিয়া

নেসেটের অধিবেশনে নেতানিয়াহুর কানে কানে কিছু একটা বলছেন সিমচা রথম্যান। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
নেসেটের অধিবেশনে নেতানিয়াহুর কানে কানে কিছু একটা বলছেন সিমচা রথম্যান। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

এক কট্টর ডানপন্থী ইসরায়েলি নেতার ভিসা বাতিল করেছে অস্ট্রেলিয়া। একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে ওই নেতা অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সে সময় এলো এই খবর। 

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জোট সরকারের অন্যতম শরীক দল 'ন্যাশনাল রেলিজিয়াস পার্টি—রেলিজিয়াস জাওনিজম' এর নেতা সিমচা রথম্যান। ওই দলের প্রতিষ্ঠাতা ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মৎরিচ।

অস্ট্রেলীয় ইহুদী সংগঠন আয়োজিত কয়েকটি অনুষ্ঠানে ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের সদস্য সিমচা রথম্যানের বক্তব্য রাখার কথা ছিল। ভিসা বাতিলের খবর পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে সংগঠনটি। তারা সরকারের এই উদ্যোগকে 'তীব্র ইহুদিবিদ্বেষ' বলে অভিহিত করে।

অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক জানান, অস্ট্রেলিয়া চায় না তাদের দেশের এমন মানুষ আসুক যাদের উদ্দেশ্য 'বিভাজন সৃষ্টি'।

ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মৎরিচ। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মৎরিচ। ফাইল ছবি: রয়টার্স

'আপনি যদি ঘৃণা ও বিভাজনের বার্তা ছড়িয়ে দিতে অস্ট্রেলিয়ায় আসতে চান, তাহলে আমরা আপনাকে এখানে দেখতে চাই না', যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'আমরা এমন একটি অস্ট্রেলিয়া চাই, যেখানে সবাই নিরাপদ থাকবে। সবার মনে নিরাপত্তার অনুভব থাকবে'।

অস্ট্রেলীয় ভিসা নীতি অনুযায়ী, মেয়াদ থাকা ভিসা বাতিলের জেরে আগামী তিন বছর রথম্যান আর অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ করতে পারবেন না।

অস্ট্রেলীয় ইহুদি সংগঠনের প্রধান নির্বাহী রবার্ট গ্রেগরি জানান, রথম্যানের সফরের উদ্দেশ্য ছিল 'অস্ট্রেলিয়ার ইহুদি সম্প্রদায়ের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ। দেশটিতে ইহুদিবিদ্বেষের ঢেউ লেগেছে।'

সামাজিক মাধ্যমে তিনি পোস্ট করে বলেন, 'এই সফরের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ঘটনাগুলোর কোনো সম্পর্ক নেই'।

রথম্যানের ভিসা বাতিল হওয়ার বিষয়টিকে গ্রেগরি 'তীব্র ইহুদিবিদ্বেষী পদক্ষেপ' বলে অভিহিত করেন। তিনি অভিযোগ করেন, অস্ট্রেলিয়ার সরকার 'অন্ধের মতো' ইহুদি সম্প্রদায় ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

BNP says ‘no’ to constitutional reforms under interim govt

The BNP has said it will not support any constitutional reforms before the national election in February 2026, arguing that such changes must be made by the next parliament.

7h ago