ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার দাবিতে ব্রিটিশ লেবার পার্টিতে ভোট আজ

গাজায় গণহত্যার স্বীকৃতি ও ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার দাবিতে নিজ দলে ভোটের আয়োজন করবে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি। গতকাল রোববার লিভারপুলে পার্টির বার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।
লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ সোমবার লেবার পার্টির প্রতিনিধিরা গাজায় গণহত্যার স্বীকৃতির পাশাপাশি ইসরায়েলের ওপর পুরোপুরি অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার ওপর ভোট দেবেন।
গতকাল যুক্তরাজ্যের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মন্ত্রী হামিশ ফ্যালকনার এই ভোটের বিরোধিতা করেছিলেন। তার মতে, এটি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের স্বীকৃতির পর ক্ষমতাসীন দলটির বার্ষিক সম্মেলন আয়োজন করা হলো।
যদি প্রস্তাবটি ভোটে পাস হয় তাহলে লেবার পার্টি জাতিসংঘের গাজা গণহত্যা সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করবে। এর ফলে ইসরায়েলের ওপর সর্বাত্মক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়টিও দলীয়ভাবে গ্রহণ করা যাবে।
সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইনের (পিএসসি) প্রস্তাবে ট্রেড ইউনিয়নগুলোও সমর্থন দিয়েছে।
পিএসসির পরিচালক বেন জামাল মনে করেন, প্রস্তাবটি যদি পাস হয় তাহলে 'লেবার পার্টির পক্ষ থেকে সরকারের নীতি পরিবর্তনে চাপ দেওয়া যাবে'।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়, লেবার পার্টির সম্মেলনে জাতিসংঘের তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। গাজায় গণহত্যা বন্ধে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। এতে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সম্মান দেখাতে ইসরায়েলকে চাপ দিতে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে। যুক্তরাজ্যবাসী ও সেখানকার প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে সেই গণহত্যায় সহযোগিতা করতে না পারে তা নিশ্চিতে কাজ করা হবে।
গত বছর সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্য সরকার ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানির ৩৫০টি লাইসেন্সের মধ্যে ৩০টি স্থগিত রাখে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনে যুক্তরাজ্যে তৈরি অস্ত্রগুলো ব্যবহৃত হওয়ার ঝুঁকি দেখা দেওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর মধ্যে আছে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ, যা সরাসরি গাজায় ব্যবহার করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের লেবার পার্টির ভোটারদের ৭২ শতাংশ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার পক্ষে। চলতি মাসে যুক্তরাজ্য সরকার দেশটির শীর্ষ অস্ত্র প্রদর্শনীতে ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের যোগদানে বাধা দেয়।
সম্প্রতি ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট ইসাক হেরগজ যুক্তরাজ্য সফর করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দেখা করেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে 'যুক্তিতর্কের' কথা সংবাদ প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়।
Comments