যুক্তরাজ্যে জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি পাউডারে ক্যানসারে ঝুঁকির অভিযোগে মামলা

জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি পাউডার। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি পাউডার। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যে বড় ধরনের আইনি জটিলতায় পড়েছে বিশ্বখ্যাত মার্কিন ফার্মাসিউটিকাল প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসন। বাংলাদেশেও সুপরিচিত ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে পারে এমন উপকরণ দিয়ে তারা বেবি পাউডার তৈরি ও বাজারজাত করছে।

পাশাপাশি, এই উপকরণ ব্যবহারে সত্ত্বেও এ ব্যাপারে পণ্যের মোড়কে কোনো সতর্কতা দেওয়া হয়নি।

তিন হাজার মানুষ ইতোমধ্যে 'অ্যাসবেসটস' সমৃদ্ধ বেবি পাউডার বিক্রির অভিযোগ তুলে জনসন অ্যান্ড জনসনের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। 

মামলায় অভিযোগ, ৬০ এর দশক থেকেই জনসন অ্যান্ড জনসনের (জেঅ্যান্ডজে নামেও পরিচিত) ট্যালকম পাউডারে কিছু ক্ষতিকর উপকরণ যুক্ত করা হচ্ছে। এসব উপকরণের মধ্যে আছে ট্রেমোলাইট ও অ্যাক্টিনোলাইট। এই দুই খনিজ পদার্থকে অ্যাসবেসটস হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়, যা ফুসফুসের ক্যানসারের অন্যতম কারণ। 

১৯৩০ সালে ফুসফুসের ক্যানসারের সঙ্গে অ্যাসবেসটসের যোগসূত্র সম্পর্ক স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।

আদালতের নথিতে উল্লেখ, এগুলো ক্যানসারের অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পরও জেঅ্যান্ডজে বেবি পাউডারের মোড়কে এ বিষয়ে কোনো সতর্কবাণী যুক্ত করেনি।

বরং ওই পাউডারের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বরাবরই একে নিরাপদ ও নিখাদ পণ্য হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা চালিয়ে গেছে জেঅ্যান্ডজে।

এসব অভিযোগ স্বীকার করেনি জেঅ্যান্ডজে।

জনসন অ্যান্ড জনসনের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, তাদের বেবি পাউডার 'সব ধরনের প্রয়োজনীয় মানদণ্ড মেনে চলে। এতে কোনো ধরনের অ্যাসবেসটস নেই এবং এর ব্যবহারে ক্যানসারে আক্রান্তের কোনো ঝুঁকি নেই।'

তবে ২০২৩ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে ট্যাল্ক বা ট্যালকম যুক্ত বেবি পাউডারের বিক্রি বন্ধ আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের বেশ কয়েকটি মামলা দায়েরের নজির আছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আপিলে জনসন অ্যান্ড জনসন জয়ী হলেও বেশ কয়েকটি মামলায় হেরে ভোক্তাদের লাখো কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য

আইনজীবীদের মত, এসব মামলার নিষ্পত্তিতে হাজারো মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানা গুণতে হতে পারে জেঅ্যান্ডজের।

Comments