ট্রাম্পবিরোধী ‘নো কিংস’ আন্দোলন, যুক্তরাষ্ট্রে লাখো মানুষের বিক্ষোভ

শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যজুড়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেন লাখো মানুষ। বিক্ষোভকারীদের বার্তা ছিল একটাই, দেশ স্বৈরতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, আর আমেরিকায় কোনো 'কিংস' চলবে না।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, লাখো মানুষ 'নো কিংস' আন্দোলনে যোগ দেন। বড় শহর থেকে ছোট কমিউনিটির মানুষ ব্যানার-পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, এই আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। অথচ মাত্র ছয় মাস আগেও রিপাবলিকানদের হোয়াইট হাউস ও কংগ্রেসের দুই কক্ষেই দখল কীভাবে মোকাবিলা করবে তা নিয়ে বিভ্রান্ত ছিল ডেমোক্র্যাটরা।
ইনডিভিজিবল সংগঠনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এজরা লেভিন অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেন, ডেমোক্র্যাটরা এখন সাহস দেখাচ্ছে।
শিকাগোর গ্রান্ট পার্কের বাটলার ফিল্ডে অন্তত ১০ হাজার মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। অনেকেই হাতে পোস্টার নিয়ে ফেডারেল অভিবাসন সংস্থার (আইসিই) বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
পরে শিকাগো ট্রিবিউন জানায়, উপস্থিত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ছিল।
শিকাগোর মেয়র ব্র্যান্ডন জনসন বলেন, 'ট্রাম্প প্রশাসন মনে হয় গৃহযুদ্ধের পুনরাবৃত্তি চায়। আমাদের অবস্থান অটল, আমরা মাথা নত করব না, ভয় পাব না, আত্মসমর্পণ করব না। আমরা আমাদের শহরে সেনা চাই না।
থাউজ্যান্ড ওকস শহর থেকে আসা এসচবাখ বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের বক্তব্যের দমননীতিই আমাকে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন করেছে।
এছাড়া ওয়াশিংটন ডিসি এলাকায় দুই লাখের বেশি মানুষ মার্কিন ক্যাপিটল ভবনের কাছে জড়ো হন।
পোর্টল্যান্ডের মূল বিক্ষোভ ছিল শান্তিপূর্ণ এবং স্থানীয় পুলিশ সড়ক ও সেতু বন্ধ করে মিছিলকারীদের সহায়তা করে।
তবে শহরের দক্ষিণে আইসিই ভবনের সামনে একটি বিক্ষোভে ফেডারেল কর্মকর্তারা গ্যাস ক্যানিস্টার নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।
পোর্টল্যান্ড মারকিউরিরের প্রতিবেদক সুজেট স্মিথ ব্লুস্কাই সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'বিকেল ৫টার আগে বিক্ষোভকারীদের ওপর গ্যাস ছোড়ে ফেডারেল এজেন্টরা।'
নিউ মেক্সিকোর সান্তা ফে শহরে বিক্ষোভকারীরা ইউনিকর্ন, মুরগি ও ব্যাঙের পোশাকে হাজির হন।
সেখানকার বাসিন্দা এমি অ্যাডলার বলেন, সবকিছুই হাস্যকর, আমরা এই অযৌক্তিকতার বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ করছি।
Comments