৫ বছর পর চীন ও ভারতের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু
পাঁচ বছর পর ভারত ও চীন সরাসরি ফ্লাইট চালু হতে যাচ্ছে। দুই এশীয় পরাশক্তির মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পাশাপাশি বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে একে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে হিমালয় সীমান্তে সংঘর্ষের পর থেকে বৈরিতা বাড়লেও প্রতিবেশী এই দুই দেশ এখন তাদের সম্পর্ক ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করছে।
ভারত সরকার জানিয়েছে, সরাসরি ফ্লাইট চালুর ফলে দুই দেশের 'সাধারণ মানুষের যোগাযোগ' বাড়বে এবং 'দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ধীরে ধীরে স্বাভাবিক' করতে সহায়ক হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের পর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর ওয়াশিংটনের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক জটিল হতে থাকে। এরপর থেকেই চীনের সঙ্গে পুরনো সম্পর্ক জোড়া লাগানো শুরু হয়।
ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ সংস্থা ইন্ডিগো রোববার রাত ১০টায় কলকাতা থেকে চীনের গুয়াংজুতে প্রথম ফ্লাইট নিয়ে যাবে।
বর্তমানে ভারত ও হংকংয়ের মধ্যে নিয়মিত ফ্লাইট রয়েছে। নভেম্বর থেকে নয়াদিল্লি থেকে সাংহাই ও গুয়াংজু রুটেও নতুন ফ্লাইট চালু হবে।
বেইজিংয়ের সঙ্গে ভারতের ব্যাপক বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। কারণ, শিল্প ও রপ্তানিখাতের কাঁচামালের জন্য ভারত ব্যাপকভাবে চীনের ওপর নির্ভরশীল।
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে চীন থেকে ভারতের আমদানি ১১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, যা ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের তুলনায় ১৬ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি।
বিপরীতে, চীনে ভারত রপ্তানি করেছে ১ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য।
করোনা মহামারির সময় দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট স্থগিত হওয়ায় মাসে প্রায় ৫০০টি ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর ২০২০ সালে সীমান্ত সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন ভারতীয় ও ৪ জন চীনা সেনা নিহত হওয়ার পর পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে যায়।
নয়াদিল্লি চীনা বিনিয়োগের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ায় এবং টিকটকসহ শতাধিক অ্যাপ নিষিদ্ধ করে।
এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন কোয়াড জোটের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করে ভারত, যেখানে জাপান ও অস্ট্রেলিয়াও রয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবিলা করা।


Comments