মার্কিন সরকারের অচলাবস্থা কাটাতে প্রতিনিধি পরিষদের ভোট আজ

মার্কিন পার্লামেন্ট ভবন। ছবি: রয়টার্স

ছয় সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের দীর্ঘতম সরকারি 'শাটডাউন' শেষ হওয়ার উদ্যোগ আজ বুধবার চূড়ান্ত ভোটে যাচ্ছে। 
সম্প্রতি মার্কিন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এ বিষয়ে একটি বিল পাস হয়। এরপর সে বিল প্রতিনিধি পরিষদে (হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস) ভোটের জন্য পাঠানো হয়। 
আজ বুধবারের এই ভোটের বিষয়টি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। 
বাজেট বিল নিয়ে দুই প্রধান দল—রিপাবলিকান পার্টি ও ডেমোক্র্যাট পার্টি বছরের শুরু থেকেই মতবিরোধে ছিল। এর ফলে অক্টোবরের শুরুতে কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প বিষয়টিকে নিজের রাজনৈতিক জয় হিসেবে দেখছেন। 
অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটরা এখনো নিজেদের মধ্যেই বিভক্ত।
বিল পাস হলে সরকার জানুয়ারি পর্যন্ত তহবিল পাবে। গত সোমবার সিনেটে সাত জন ডেমোক্র্যাট ও এক স্বতন্ত্র সিনেটর রিপাবলিকানদের সঙ্গে যোগ দিয়ে বিল পাসে সহায়তা করেন।
তবে প্রধান ডেমোক্র্যাট নেতারা এখনও বিলের বিরোধিতা করছেন। তাদের দাবি, বিলটিতে স্বাস্থ্যবিমার ভর্তুকি বাড়ানোর ব্যবস্থা নেই, যা বছরের শেষে মেয়াদোত্তীর্ণ হবে।
রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে হাউসে বিল পাস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, পরবর্তী পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিমা ভর্তুকি নিয়ে আলাদা ভোট হবে। কারণ ভর্তুকি বন্ধ হলে কোটি কোটি মার্কিনির 'ওবামা কেয়ার' খরচ দ্বিগুণ হতে পারে।
এদিকে, শাটডাউনের কারণে দেশটির প্রায় দশ লাখ সরকারি কর্মচারীর বেতন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য সহায়তা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। থ্যাঙ্কসগিভিং উৎসবের আগে উড়োজাহাজ চলাচলেও বড় ধরনের বিঘ্ন তৈরি হচ্ছে। 
এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় বলেন, 'হাউস জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারের তহবিল অনুমোদন দেবে বলে তিনি আশা করছেন।'
শাটডাউনের শুরু থেকেই ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি আলোচনায় না যেয়ে সরকারি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন।
সিনেটে পাস হওয়া বিল এখন হাউসে যাচ্ছে। হাউসে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। সেখানে বিল পাস হলে তা ট্রাম্পের কাছে পাঠানো হবে এবং প্রেসিডেন্ট অনুমোদন দিলে চূড়ান্তভাবে শাটডাউন শেষ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Thousands gather at Manik Mia Avenue ahead of Osman Hadi’s Janaza

Army, police and Rab deploy heightened security as hundreds gather near Parliament complex

1h ago